ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডিম পাড়তে এসে মা কচ্ছপের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
ডিম পাড়তে এসে মা কচ্ছপের মৃত্যু

কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে এসেছে একটি কচ্ছপের মরদেহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অলিভ রিডলে প্রজাতির কচ্ছপটি প্রজনন মৌসুমে সমুদ্র উপকূলে ডিম পাড়তে আসার পথে মারা গেছে।

গত তিন মাসে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে অন্তত ৩০টি সামুদ্রিক কচ্ছপ মারা পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর পারভেজ।

তিনি জানান, বুধবার রাতে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কচ্ছপটি ভেসে আসার খবর দেন জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম মৃত সামুদ্রিক কচ্ছপটি উদ্ধার করে ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

মহাপরিচালক আরও জানান, আমরা ধারণা করছি প্রজনন মৌসুম হিসেবে মা কচ্ছপটি ডিম পাড়তে সমুদ্র উপকূলে আসতে চেয়েছিল। সাগরে কোনো জলযান বা জেলেদের জালে আটকা পড়ে কচ্ছপটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা যায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কচ্ছপটির মৃত্যুর কারণে অনুসন্ধানের জন্য ময়নাতদন্ত করার কথা জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, সমুদ্র উপকূলে ডিম পাড়তে এসে প্রায় সময় সামুদ্রিক কচ্ছপসহ বিভিন্ন প্রাণী মারা পড়ছে।

সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩০ কেজি ওজনের মা কচ্ছপটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি ও প্রস্থ ২ ফুট ৩ ইঞ্চি। কচ্ছপটি বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। পেটে ১০৯টি ডিম ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে কচ্ছপটির দেহ ও ডিম গবেষণার জন্যে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ল্যাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ইনানী সৈকতের শফিরবিল এলাকায় একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন ও কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নিয়ে গত তিন মাসে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে অন্তত ৩০টি সামুদ্রিক কচ্ছপ মারা পড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।