ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা রেজল্যুশন বাস্তবায়নে নিউইয়র্কে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান 

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:১১ এএম, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
রোহিঙ্গা রেজল্যুশন বাস্তবায়নে নিউইয়র্কে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান 

ঢাকা: রোহিঙ্গা রেজল্যুশন বাস্তবায়নে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।  

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে রোহিঙ্গাবিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য  জানায়।

আলোচনা সভায় ব্রুনেই দারুসসালাম, কানাডা, জিবুতি, মিশর, গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, সেনেগাল, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এবং অন্যান্য পর্যায়ের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, আলোচনায় জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওআইসির স্থায়ী পর্যবেক্ষণ মিশনের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। ।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের পরিস্থিতিবিষয়ক একটি রেজল্যুশন (২৬৬৯) গৃহীত হয়। এতে মিয়ানমারের বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যাসহ রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের বিষয়টিও বিশেষভাবে প্রাধান্য পায়।  

এ ছাড়া, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিগত বছরগুলোতে নিয়মিতভাবে রোহিঙ্গাবিষয়ক রেজল্যুশন পাস হয়। নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের রোহিঙ্গাবিষয়ক এই রেজল্যুশনগুলোকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জোরালো আহ্বান জানানোই ছিল এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টার পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সফলতা না আসায় হতাশা ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্ভাবনার কথা পুনঃউল্লেখ করেন।  

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো ছোট আয়তনের দেশে বিশাল জনসংখ্যাসহ অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর ওপর মিয়ানমার থেকে আসা ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।  

নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি গৃহীত রেজল্যুশনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ানের নেতৃত্বের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

বক্তারা রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐক্যমত্যের সফল বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন। তাছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা মিয়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় এবং সব ধরনের মানবিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ ধন্যবাদ  জানান।  

আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের পররাষ্ট্রবিষয়ক সাব-কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গ্রেগরি মিক্‌সের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন।  

এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৬  ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি, ২৪, ২০২৩,
টিআর/আরএইচ

বাংলাদেশ সময়: ১১:১১ এএম, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩ /

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।