ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিটি এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার রাস্তা থাকা উচিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
প্রতিটি এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার রাস্তা থাকা উচিত

ঢাকা: ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আগা খান মিন্টু বলেছেন, আমরা উন্নত হচ্ছি, বড় বড় দালান-কোঠা বানাচ্ছি। বস্তি হলেও প্রতিটি এলাকায় আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার রাস্তা থাকা উচিত।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুর পোড়া বস্তি ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতামূলক মহড়া’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।

আগা খান মিন্টু বলেন, আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে দেশ চলবে এমনটি নয়। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় দেশের মানুষ সহযোগিতা করেছে বলে আমরা বড় বড় দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমরা এখন অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গেছি। আমি যখন ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাস করি তখন বাসে যাতায়াত করতাম। বাসে ওঠার সময় সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠদের আগে ওঠার সুযোগ দিতাম কিন্তু এখন সেই অবস্থা বদলে গেছে। বর্তমানে বাসে কে কার আগে ওঠবে এ প্রতিযোগিতা চলে।  

তিনি বলেন, আমরা সবাই গ্রামের। একসময় সবাই গ্রামে ছিলাম। আগে ‌গ্রামের বাড়িতে ঘরে ঘরে কলশিতে পানি রাখা হতো। গ্রামের সরু রাস্তায়  ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে না পারলে প্রতিবেশীরা তাদের ঘরে রাখা কলশির পানি দিয়ে আগুন নেভাতো। আমরা উন্নত হচ্ছি বড় বড় দালান-কোঠা বানাচ্ছি। কিন্তু আগুন নেভানোর গাড়ি যাওয়ার মতো রাস্তা রাখছি না। এ পোড়া বস্তিতে আগুন নেভানোর গাড়ি যাওয়ার রাস্তা নেই। এ সময় তিনি স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি আমলে নেওয়ার অনুরোধ করেন।

এমপি আগা খান বলেন, আমাদের নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। আমাদের সবার উচিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে পূরণ করা।

তিনি বলেন, আমাদের শপথ নিতে হবে আমরা যাতে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন একটি অসাম্প্রদায়িক দেশের। যে দেশে কোনো দারিদ্র মানুষ থাকবে না, কোনো মানুষ না খেয়ে মরবে না। আমরা সেই বাংলাদেশ করতে চাই এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ‌‌

অনুষ্ঠানে সচিব কামরুল হাসান বলেন, আমাদের অসচেতনতার কারণে এসব অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের জীবন মূল্যবান। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা সচেতন হলে আগাম প্রস্তুতি থাকলে ক্ষতি কমানো সম্ভব।  

তিনি বলেন, ফায়ারের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একটু দেরি হলে অনেকে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এমন কিছু যেন না ঘটে সবাই সাবধান থাকবেন।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আব্দুল মান্নান ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।