ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৬ মাসের দণ্ডে ৭ বছর বিদেশ, হলো না রক্ষা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
৬ মাসের দণ্ডে ৭ বছর বিদেশ, হলো না রক্ষা গ্রেফতার মো. মাহফুজুর রহমান

ফেনী: ফেনীতে ৬ মাসের দণ্ড থেকে বাঁচতে ৭ বছর বিদেশ পালিয়ে থেকেও হলো না শেষরক্ষা দণ্ডপ্রাপ্তের। অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতেই হলো দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মাহফুজুর রহমানকে (৪০)।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেনী সদর উপজেলার লালপুল এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মাহফুজুর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম সাতবাড়িয়া এলাকার জাকির আহম্মদের ছেলে।

২০১৪ সালের চেক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়ে গোপনে দুবাইয়ে চলে যান। আর আদালতে হাজির হননি। শুনানি শেষে ২০১৫ সালে মাহফুজুর রহমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা দেন আদালত।

সোনাগাজী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুব আলম সরকার বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়ার পর থানার কর্মকর্তারা মাহফুজুরের খুঁজে মাঠে নামেন। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।  

পরে তারা জানতে পারেন, মাহফুজুর টাকা পরিশোধের ভয়ে গোপনে দুবাইয়ে চলে গেছেন। সপ্তাহখানেক আগে এক সোর্সের মাধ্যমে আবারও জানতে পারেন দীর্ঘ সাত বছর পর মাহফুজুর দুবাই থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। ফেনীতে তার এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন।

কয়েক দিন আগে মাহফুজুরকে ধরতে তিনি গভীর রাতে তার গ্রামের বাড়িতে এবং সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তার মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন। তারপর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সে ফোন নম্বরের সূত্র ধরে সোমবার ভোরে সদর উপজেলার লালপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, মাহফুজুরকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এসএইচডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।