গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ শহরের নবীনবাগ এলাকায় ভাড়া একটি বাসা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রিক্তা খাতুন (২২) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রিক্তা জেলার শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভালকি গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।
রিক্তার স্বামী মো. রাসেল মণ্ডল (২৬) একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন, তিনি একই জেলার মহেশপুর উপজেলার ঘোষপুর গ্রামের মো. আবুল কাসেমের ছেলে বলে জানা গেছে।
স্বামী রাসেল মণ্ডল করেন, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভালোবেসে পরিবারকে না জানিয়ে রিক্তা ও রাসেল একে অপরকে বিয়ে করেন। পরে মার্চ মাস থেকে তারা নবীনবাগ এলাকায় ওই ভাড়া বাসায় প্রায় এক বছর বসবাস করে আসছিলেন। কয়েকদিন হলো অন্য একটি মেয়ে তার (রাসেল) মোবাইলফোনে ম্যাসেজ ও ফোন দিয়ে বিরক্ত শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী রিক্তা সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়। একপর্যায়ে মোবাইল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ওই মেয়ের মোবাইল নম্বর স্ত্রী রিক্তা ও কয়েকজন বন্ধুকে দেন- মেয়েটির পরিচয় শনাক্তের জন্য। এরপর এ বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার আর কোনো ঝামেলা ছিল না।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি (রাসেল) কোচিং করানোর জন্য বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান, কক্ষের দরজা খোলা। তখন ভেতরে ঢুকে দেখেন স্ত্রী রিক্তা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তখন স্ত্রীর ফাঁস খুলে নামান তিনি।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল আহমেদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী রাসেলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে অন্য মেয়ের সম্পর্ক থাকার কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তবে মর্গের রিপোর্ট দেখে প্রকৃত কারণ জানা যাবে- এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এসআরএস