ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে দেশটির সংসদে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যসভার সদস্য ডা. জন বৃত্তাস সংসদে এ আলোচনা তোলেন।
ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংয়ের কাছে বৃত্তাস জানতে চান, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে কি না। যদি চেয়ে থাকে, তাহলে কী কারণে তাকে ফেরত চেয়েছে এবং ভারত সরকারের এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে কীর্তি বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধের জবাব দেয়নি ভারত।
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন হাসিনা। দেশটিতে বসেই তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থির করে তোলার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করছে ঢাকা। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
প্রায় ৩০০ মামলায় শেখ হাসিনার বিচার চলার মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে কূটনৈতিকপত্র পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে চলে আসা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ভারতকে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। শেখ হাসিনাকে বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য ফেরত চান, এ কথা তিনি দেশটিকে স্পষ্ট করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা ও অন্যদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
এমজে