ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের ঘাড় ও হাত ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) রাতে উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী গ্রামে স্বামী আরিফের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় রাতে সোনিয়াকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে স্বামী পালিয়ে যান। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। স্বামী আরিফ চুমুরদি গ্রামের আবিল শেখের ছেলে ও স্ত্রী সোনিয়া পার্শ্ববর্তী ঘারুয়া ইউনিয়নের বিবিরকান্দা গ্রামের আব্দুস সালাম শেখের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৬-৭ বছর আগে সোনিয়ার পারিবারিকভাবে আরিফের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আরিফ শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মালদ্বীপে যায়। দীর্ঘ ৪ বছর মালদ্বীপ অবস্থান করলেও শ্বশুরের টাকা আরিফ পরিশোধ করেননি। এ বছর দেশে আশার পর আরিফ এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং স্থানীয়ভাবে ও থানায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। ১৫ দিন আগে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে যায় আরিফ। ২ সপ্তাহ যেতে না যেতেই পরকীয়া জেরে সোনিয়াকে বেদম মারধর করে ঘাড় ও হাত ভেঙে দেয়।
তবে অভিযুক্ত স্বামী আরিফের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জুয়েল বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে ১৫ দিন আগে একবার সালিশ করেছি। এলাকার লোকজন ও আরিফ মুচলেকা দিয়েছিল। তবে, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৩
জেএইচ