নবাবগঞ্জ (ঢাকা): জীবনের ঝুকি নিয়ে একাত্তরে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন খান (৭৭)। এখন তিনি যুদ্ধ করে চলেছেন নিজের চোখ নিয়ে।
যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন প্রিয় মাতৃভূমিকে দু'চোঁখ ভরে দেখতে চান মোশাররফ হোসেন। কিন্তু চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার এ স্বপ্ন আর পূরণ হতে পারছে না।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনীর সঙ্গে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হয়েছিল উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নে। ইছামতি নদীর বাঁকে অনন্ত ৬০ জন পাক হানাদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আর যে লঞ্চ দিয়ে পাকবাহিনী নবাবগঞ্জে প্রবেশ করেছিল, সেই লঞ্চটিকে বোমা নিক্ষেপ করে ধ্বংস করা হয়েছিল। সেই যুদ্ধের (সেকেন্ড ইন কমান্ড) ও ২০১০ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক নির্বাচিত ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন মোশাররফ হোসেন। তার বাম চোঁখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেলেও এখন অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি।
মোশাররফ হোসেন খান উপজেলার আগলা ইউনিয়নের চরচরিয়া গ্রামের মৃত সমসের খানের ছেলে।
মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে বাম চোখে দেখতে না পাওয়ায় শেরে বাংলা নগর জাতিয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাই। সেখানে কিছু পরিক্ষা-নিরিক্ষা করতে বলা হয় এবং সেগুলোর রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক জানান আমার বাম চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। অপরেশন করে কর্নিয়া লাগাতে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমি সরকারি ভাতা দিয়ে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে কোনো রকম জীবন যাপন করি। কিন্তু অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা নিতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৩
এফআর