ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে ডেইরি ফার্মে দুর্বৃত্তের আগুন, দগ্ধ ১৫ গরু, মৃত ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
বাগেরহাটে ডেইরি ফার্মে দুর্বৃত্তের আগুন, দগ্ধ ১৫ গরু, মৃত ১

বাগেরহাট: বাগেরহাটে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে একটি ডেইরি ফার্মের ১৬টি গরু দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু মারা গেছে।

এছাড়া কয়েকটি গাভীর অবস্থা গুরুতর।  

বুধবার (০১ মার্চ) গভীর রাতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের নাজমুল আলম রুবেলের মালিকানাধীন শেখ ডেইরি ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি খামার মালিকের। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি খামার মালিক রুবেল।

ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক নাজমুল আলম রুবেল (৩৭) চাপাতলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। রুবেল দীর্ঘদিন কোরিয়া ছিলেন। কোরিয়া থেকে দেশে ফিরে ডেইরি ফার্ম করেন। তার ফার্মে প্রতিদিন ৯০ লিটার দুধ উৎপাদন হত। মিল্ক ভিটা কোম্পানিকে তিনি দুধ সরবরাহ করতেন।

এদিকে ডেইরি ফার্মে আগুনের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমানসহ প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বাগেরহাটের মাঠকর্মী তারিক হোসেন বলেন, খবর শুনে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দগ্ধ গরুগুলোকে সেবা দিয়েছি। বেশিরভাগ গরুগুলোর শ্বাসনালীসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান আক্রান্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক নাজমুল আলম রুবেল বলেন, গরুগুলো ফার্মে ছিল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ রাত ১১টার দিকে কুকুরের ডাকাডাকিতে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। পরে গোয়ালে এসে গরুর দড়ি খুলে দিয়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করি। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে সবগুলো গরুই দগ্ধ হয়। পরে একটি গরু মারা যায়। পরিকল্পিতভাবে শত্রুতার জেরে আমাদের গোয়ালে আগুন দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।  

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। নিঃস্ব হয়ে গেলাম। ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করব বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই তরুণ উদ্যোক্তা।

নাজমুল আলম রুবেলের বাবা রুহুল আমিন বলেন, ছেলে বিদেশ থেকে ফিরে এলে ব্যাংক ঋণ নিয়ে তাকে খামার করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এ ঘটনায় আমরা তো নিঃস্ব হয়ে গেলাম।  
এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন এই বৃদ্ধ বাবা।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. লুৎফর রহমান বলেন, বিভিন্ন বয়সের ১৬টি গরু দগ্ধ হয়েছে। একটি গরু মারা গেছে। কয়েকটি গরুর শতভাগ চামড়া পুড়ে গেছে। ভেটেরিনারি সার্জনসহ আমরা সবাই মিলে দগ্ধ গরুর চিকিৎসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।