ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদাবাজির প্রতিকারে প্রশাসনের শরণাপন্ন ভ্যান চালকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
চাঁদাবাজির প্রতিকারে প্রশাসনের শরণাপন্ন ভ্যান চালকরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে রাস্তায় চাঁদাবাজির প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশের শরণাপন্ন হলেন গোমস্তাপুরের অটোভ্যান চালকরা।  

বৃহষ্পতিবার (২ মার্চ) সকালে একজোট হয়ে এ অভিযোগ করেন ভ্যান চালকরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডী, মাধাইপুর, যাঁতাহারা, আড্ডা, ধুলিউড়া, রহনপুর ও খোয়ারমোড় এলাকায় প্রতিদিন চাঁদাবাজির শিকার হন অটোভ্যান চালকরা।  

৫০ জন ভ্যান চালকের স্বাক্ষর সম্বলিত এই অভিযোগে তাদের দাবি, কোনো ভ্যানচালক যাত্রী নিয়ে এসব মোড় অতিক্রম করতে গেলেই বাধ্যতামূলক ১০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে নানাভাবে হয়রানী ও অত্যাচারের শিকার হতে হয়।

অটোভ্যান চালকদের পক্ষে অভিযোগকারী গোমস্তাপুর উপজেলার ছোট দাদপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম জানান, প্রায় শতাধিক ভ্যান চালকের কাছ থেকে জোর করে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করা হয়। এর প্রতিকারে বাধ্য হয়ে তারা প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছেন।  

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গরীব মানুষ হওয়ায় কেউ সংসারের কিছু বেচে, আবার কেউ চড়া সুদে এনজিও থেকে লোন নিয়ে ভ্যানগাড়ি কিনে তা থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালায়। তাছাড়া ভটভটি, অটো, সিএনজিসহ নানান ধরনের যানবাহন বের হওয়ায় তাদের যাত্রীও কমে গেছে। প্রতিদিন তাদের গড়ে ৪শ থেকে ৮শ টাকা আয় হলেও বিভিন্ন খরচের পাশাপাশি গড়ে ১শ টাকা করে বিভিন্ন চাঁদায় চলে যায়। এতে করে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছি আমরা।

এ ব্যাপারে সোনাইচন্ডী বাজারের চাঁদা উত্তোলনকারী চেইন মাস্টার মামুন জানান, এ বাজারে রেজিস্ট্রারভূক্ত রিক্সা-ভ্যান-অটো সমিতির মাধ্যমে (যার রেজি: নম্বর-০০১৫) সপ্তাহে একদিন করে ১০ টাকা হারে চাঁদা নেওয়া হয়। তবে কোনো রশিদ দেওয়া হয় না। বিনিময়ে এসব যানবাহনকে সিরিয়াল ও যাত্রী ধরে দিয়ে সহযোগীতা করা হয়।

রহনপুর বাজারে চাঁদা উত্তোলনকারী তুষারও একই ধরনের মন্তব্য করেন। কোনো অটো ভ্যানচালকের কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন এ নিয়ে একটি অভিযোগ পাবার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গোমস্তাপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩ 
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।