ঢাকা: কালোবাজারি ঠেকাতে এনআইডির মাধ্যমে অনলাইন নিবন্ধনের পরে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি কার্যকর হয়েছে গত ১ মার্চ থেকে।
নতুন পদ্ধতিতে সব যাত্রী অভ্যস্ত না হতে পারায় কমেছে ট্রেনের টিকিট বিক্রি।
তবে রাজস্ব আয় কমলেও কী পরিমাণ কমেছে তার সার্বিক তথ্য বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে আসেনি। সাপ্তাহিক তথ্য হালনাগাদের সময় এ সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পশ্চিম) সুজিত কুমার বিশ্বাস এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যানটা আমরা এখনো নেইনি। আমরা স্টেশনগুলোতে খোঁজ নিয়ে যতটুকু জেনেছি, যাত্রী কিছুটা কম। ফলে রাজস্ব আয়ও কিছুটা কমেছে। তবে কী পরিমাণ রাজস্ব আয় কমেছে তা এখনই বলতে পারবো না। আমরা প্রতি সপ্তাহের পরিসংখ্যান নিয়ে দেখতে পারবো রাজস্ব আয় কেমন হচ্ছে।
চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, যেহেতু নতুন একটি পদ্ধতি শুরু হয়েছে, প্রথমে শতভাগ যাত্রী এটা গ্রহণ করে না। প্রথমে একটু সমস্যা থাকবে, পরে সবাই মানিয়ে নেবে। রাজস্বের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমরা এখনো মূল্যায়ন করিনি। যত টিকিট আছে এর থেকে বাড়বে না, হয়তো কিছুটা কমতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ থেকে পাসপোর্ট বা এনআইডির মাধ্যমে অনলাইন নিবন্ধনের পরে যাত্রীদের নিকট টিকিট বিক্রি কার্যকর হয়েছে।
একইসঙ্গে রেলওয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক. একজনের টিকিটে অন্য জন ভ্রমণ করতে পারবে না, করলে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণের অভিযোগ এনে জরিমানা আদায় করা হবে।
দুই. একজন ব্যক্তি সপ্তাহে দুইবার আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। একবারে সর্বোচ্চ চারজনের টিকিট কাটতে পারবেন কোনো ব্যক্তি।
এদিকে অনলাইনে টিকিট কাটতে সাধারণ যাত্রীদের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। অনেকের কাছে তথ্য না থাকার পরিচয় পত্র না নিয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। অনেকের আবার স্মার্ট মোবাইল ফোন না থাকায় পড়ছেন বিড়ম্বনায়। আর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে বয়স্ক টিকিট প্রত্যাশীদের।
তবে কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, কিছুদিনের মধ্যেই এসব সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠে, আগের মতোই টিকিট বিক্রি হবে, বাড়বে রেলের আয়ও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
এনবি/এসআইএস