বরিশাল: আগৈলঝাড়া উপজেলার একটি স্লুইস গেট সংস্কার না হওয়ায় এলাকার বেশকিছু ইরি ব্লকে পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। খালের পানির জন্য জোয়ারের অপেক্ষা ও ইরির জমিতে সঠিক নিয়মে পানি দিতে না পারায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট মহাসড়কের বড়মগড়ায় একটি স্লুইস গেটের কপাট দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। এতে স্লুইস গেট দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বড়মগড়া, জলিরপাড় ও কোদালধোয়াসহ পাশের এলাকার ৩০টি ইরি ব্লকে পানি দিতে না পারায় হাজারো কৃষক খেতের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
উত্তর বড়মগড়া গ্রামের স্লুইসগেট সংলগ্ন ইরি ব্লকের ম্যানেজার অরবিন্দু অধিকারী, গোবিন্দ মন্দির সংলগ্ন ইরি ব্লকের ম্যানেজার সুবোধ বাড়ৈ, বড়মগড়া গ্রামের জন্বেঞ্জয় বাড়ৈ, জলিরপাড় গ্রামের ইরি ব্লকের ম্যানেজার লিটন ফকির, কোদালধোয়া গ্রামের ইরি ব্লকের ম্যানেজার আব্দুর রব ফকিরসহ একাধিক কৃষক জানান, স্লইচগেট বন্ধ থাকায় এসব ইরি ব্লকের ম্যানেজাররা খালে কখন জোয়ার আসবে সেই অপেক্ষায় বসে থাকেন।
প্রতি ২৪ ঘণ্টায় দুবার খালে জোয়ার আসে। তবে জোয়ারের পানি দিয়ে সব খেতে পানি দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন ব্লক ম্যানেজাররা। স্লুইস গেট বন্ধ থাকার বিষয়টি একাধিকবার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস ছালামকে জানানো হয়, কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ তাদের।
জলিরপাড় গ্রামের কৃষক উত্তম অধিকারী জানান, ম্যানেজার অরবিন্দু অধিকারীর ইরি ব্লকে আমি ৪ একর জমিতে ধান চাষ করেছি। কিন্তু সেখানে খেতে পানি দেওয়া কষ্টকর। খুব দুশ্চিন্তায় দিন পার করছি।
এ ব্যাপারে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক বিভাগ) নিউটন দে বলেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
এমএস/এমজে