মাদারীপুর: পরকীয়া জানাজানি হয়ে যাওয়ায় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে তিন বন্ধু। গ্রেফতারকৃত দুই বন্ধুর প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে একথা জানা গেছে।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। এদিকে পলাতক অপর বন্ধু বাবুল শিকদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, গত শুক্রবার (৩ মার্চ) মাদারীপুরের শিবচরের বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের ভেন্নাতলা এলাকার সৌদি প্রবাসী শাহ আলম ফকিরের স্ত্রী আকলিমা বেগমের (৩০) মুখবাঁধা মরদেহ নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন নিহতের ভাই সুজন শিকদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন। শুরু হয় পুলিশের অনুসন্ধান।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ১৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় আতিয়ার কাজী (৫০), শহীদ মোল্লা (৪২) নামে দুইজন। পরকীয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় ধর্ষণ শেষে তিনবন্ধু মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে। পরে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত তিনজনই।
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, 'সাত বছর আগে আতিয়ারের সঙ্গে পরিচয় হয় আকলিমার। পরে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরকীয়া সম্পর্কের কথা আতিয়ার স্ত্রী জেনে গেলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।
এরই মধ্যে আতিয়ার তার দুই বন্ধুর সঙ্গে আকলিমার পরিচয় করিয়ে দিলে তারাও শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। পরে আকলিমাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে তিন বন্ধু। ঘটনার দিন রাতে প্রথমে আতিয়ার ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। পরে অন্য দুই বন্ধুও ধর্ষণ করে আকলিমাকে। আকলিমা এ ঘটনা জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে তিনজনে মিলে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত দুইজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে এবং হত্যার বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত তিনজনই ভ্যানচালক ও ভেন্নাতলা এলাকার বাসিন্দা। এখনো পলাতক অপর বন্ধু বাবুল শিকদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৩
আরএ