ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের বাণিজ্য বাড়াতে কূটনীতিকদের তৎপর হওয়ার নির্দেশ

মহিউদ্দিন মাহমুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
দেশের বাণিজ্য বাড়াতে কূটনীতিকদের তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দোহা, (কাতার) থেকে: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ টেকসই করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে তৎপর হতে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৬ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দোহায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল ওয়ালডর্ফ এস্টোরিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতদের সম্মেলনে তিনি এ নির্দেশ দেন।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদেরকে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারে সক্রিয় হতে হবে।

টানা তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, যেহেতু আমাদের উত্তরণ হবে ডেভেলপিং কান্ট্রি হিসেবে, ডেভেলপিং কান্ট্রি হিসেবে কোনো কোনো দেশের সঙ্গে আমরা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারি, কোথায় আমাদের লাভ হবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যেন টিকে থাকতে পারি, এগিয়ে যেতে পারি, উন্নত দেশে আমাদের উত্তরণ ঘটে সুদীপের দৃষ্টি রেখে সব দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, একসময় কূটনীতি ছিল রাজনৈতিক বিষয়, এখন এটা অর্থনৈতিক বিষয়। অর্থাৎ ইকনোমিক ডিপ্লোমেসি। আমাদের যারা কাজ করছেন সব সময় এটা লক্ষ্য রাখবেন। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারি, কোনো দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি সুযোগ আছে, আমরা যেগুলো আমদানি করি, সেগুলো কোনো দেশ থেকে কম দামে ন্যায্যমূল্যে আমদানি করতে পারি সেটা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়ানোর একান্তভাবে দরকার। কোনো কোনো দেশে আমাদের উৎপাদিত পণ্যের কী কী চাহিদা আছে সেটা দেখা এবং কোথায় আমরা বাজারজাত করার সুযোগ পেতে পারি।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে বাংলাদেশের নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। অন্তত আমি এটুকু দাবি করতে পারি বাংলাদেশ এই নীতিটা যথাযথভাবে পালন করছে।

তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমরা সবার সঙ্গে বজায় রাখবো। তবে যেখানে আমরা অন্যায় দেখবো নিশ্চয়ই আমরা কথা বলব। কিন্তু সেটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে। যেমন মিয়ানমারে যখন ঘটনা ঘটলো আমরা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলাম। কিন্তু আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া লিপ্ত হইনি। রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরাতে কূটনৈতিকভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ।

কাতার, সৌদি আরব, কুয়েত, ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা দূত সম্মেলনে অংশ নেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে (এলডিসি-৫)  উপলক্ষে কাতার সফরে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে  শনিবার (৪ মার্চ) কাতার আসেন তিনি। আগামী ৮ মার্চ দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।