ঢাকা: ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার সাত মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। বেজমেন্ট ও গ্রাউন্ড ফ্লোর অনেকটাই ধসে গেছে ও বিল্ডিংয়ের কলামগুলো অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা রাজউক ও সেনাবাহিনীর দুই বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। তারা সবাই বলেছেন বিল্ডিংটি এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ। যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ সে কারণে আমরা বিল্ডিংয়ের ভেতরে ঢুকতে পারছি না। একটু স্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বাকি অভিযান পরিচালনা করব। ইতোমধ্যে এস্কেভেটর চলে এসেছে, এছাড়া আরো কিছু সরঞ্জাম আসছে। সেনাবাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাকি অভিযান করব।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের জানামতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪০ জন আহত হয়েছে। হতাহতের ঘটনা বাড়লে পরবর্তীতে জানানো হবে।
কিভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটু আগে আমরা এখানকার মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। উনারা বলেছেন নিচে কোনো গ্যাসের লাইন ছিল না, তবে পানির লাইন ছিল এবং পানির রিজার্ভার ছিল। এই কারণে আমরা সঠিক করে বলতে পারছি না কারণটা কি ছিল। সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল এসেছেন, তদন্ত করবো অন্য কোনো কারণ ছিল কিনা।
কতজন নিখোঁজ রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনা যখন ঘটে তখন মার্কেট চালু ছিল। দোকান ছিল এবং দোকানে কর্মচারী ও ক্রেতা ছিল। তাই সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না কতজন মানুষ ছিল বা এখন পর্যন্ত কতজন আছে।
ভেতরে কেউ আটকে আছে কিনা এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, আমরা বলছি না কেউ আছেন না নেই। যেহেতু আমরা ভেতরে ঢুকতে পারছি না তাই সঠিকভাবে বলতে পারছি না।
রাজকের ইঞ্জিনিয়ার এসে বিল্ডিংটি ঝুঁকিপূর্ণ বলেছেন, যে কারণে আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিচ্ছি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
টিএ/এএটি