চাঁদপুর: রাজধানী গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয়েছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মো. মানসুর ও আল-আমিন। তারা দুজন সম্পর্কে খালাত ভাই।
বুধবার (৮ মার্চ) সকালে তাদের মরদেহ গ্রামের বাড়ীতে আনা হয়। সকাল ১০টার দিকে উভয়ের গ্রামের বাড়ীতে পৃথক নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আল-আমিন উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর গ্রামের বেপারী বাড়ীর মো. বিল্লাল হোসেন বেপারীর ছেলে। মানসুর উপজেলার পৌর এলাকার উত্তর চেঙ্গারচর গ্রামের মিয়াজী বাড়ীর মোশারফ হোসেন মিয়াজীর ছেলে।
ষাটনল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মোশারফ বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে আল-আমিনের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। সকাল ১০টায় বাড়িতে তার নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। আল-আমিন রাজধানী ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে উপজেলার উত্তর চেঙ্গারচর গ্রামের বাসিন্দা সায়মন জানান, সকাল ১০টায় মানসুরের জানাজার নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। মানসুর বিবাহিত। তার স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মানসুরের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের কান্নায় আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মরদেহ দেখতে উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসেন। মরদেহ দেখে শোকে কাতর হয়ে ওঠেন পরিবারের স্বজনেরা। কোনো সান্তনাই থামাতে পারছে না নিহতের মা-বাবার কান্না।
নিহত মানুসরের ছোট ভাই কাওছার জানান, ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে হাবিব বেডিং স্টোর নামে তাদের একটি দোকান রয়েছে। চার ভাইয়ের মধ্যে মুনসুর দ্বিতীয়। আল-আমিন তার খালাতো ভাই। সে মাঝে মধ্যে দোকানে আসতো। ঘটনার সময় তাকে নিয়ে বাহিরে গিয়েছিলেন মনসুর।
কাওসার আরও জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে ভাইকে ফোনে পাচ্ছিলাম না। খুঁজতে খুঁজতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এসে আহতদের মাঝে পাইনি। পরে মর্গে লাশের সাঁরি থেকে দেখে দুজনকে পেয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৩
এসএম