ঢাকা: ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী নদী যমুনাকে ছোট করার চিন্তা ভাবনা করছে সরকার! প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৮৯৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আর বাংলাদেশ সরকার এতে ঢালবে ২১৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
রোববার (১২ মার্চ) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এ মন্তব্য করেন। সংগঠনের পক্ষে তারা প্রয়োজনীয় গবেষণা না করে যমুনা নদীর প্রশস্ততা কমানোর প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নাগরিক সংগঠনটির নেতারা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যমুনা নদীর প্রশস্ততা ১৫ কিলোমিটার থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার কমানোর যে প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করেছে তা বিজ্ঞানসম্মত নয় এবং অযৌক্তিক। গবেষণা ছাড়া এমন পরিকল্পনাকে সর্বনাশা।
এত বড় নদীতে এ ধরনের অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে একদিকে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাড়বে; অন্যদিকে নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
গবেষণা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে নদী সংকোচনের ফলে অনেক এলাকায় পানিপ্রবাহ থাকবে না। সেসব এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাবে। একই সঙ্গে কৃষি, মৎস্যসম্পদ, প্রাণ-বৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভবিষ্যতে যমুনা নদীর ডাউনস্ট্রিমের পরিবেশ এবং পদ্মা ও যমুনা সেতুসহ অন্যান্য স্থাপনার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
জানা গেছে, পরিকল্পনা অনুসারে ‘যমুনা নদীর তীর রক্ষা এবং ঝুঁকি প্রশমনে টেকসই অবকাঠামো’ শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
টিএ/এমজে