ঢাকা: রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় আশেপাশের ভবনের বাসিন্দাদের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। সেই ঘটনার বীভৎস স্মৃতি এখনো তাড়া করে বেড়াচ্ছে সেখানকার ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের।
সোমবার (১৩ মার্চ) সরেজমিনে ওই এলাকায় আশেপাশের ভবনের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে এমনটিই জানা গেল।
কংক্রিট, ভবনের ভাঙা অংশ ফায়ার সার্ভিস অপসারণ করলেও এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিস্ফোরণের স্মৃতিচিহ্ন। আর সেই স্মৃতির আতঙ্ক রয়ে গেছে সেখানকার মানুষের মনে।
বিস্ফোরণ ঘটা ভবনটির পাশের ভবনের সেনিটারি ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিস্ফোরণের দিন অল্পের জন্য প্রাণে গেছি। তবে, সে ভয় মনে রয়ে গেছে। চিন্তা করছি প্রতিষ্ঠান অন্য কোথাও নিয়ে যাব। তবে, অন্য কোথাও নিরাপদ কি না সেটাই বা কীভাবে বুঝব। আসলে কেউ শিকার না হলে এই আতঙ্ক টের পাবে না। আমি ঘুমাতেও পারিনি দুই দিন ঠিকভাবে।
ওই ভবনের ঠিক উল্টোপাশের ফুটপাতের একজন ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তো ভাই ভাসমান ব্যবসায়ী। বসার জায়গাটার জন্য টাকা দিতে হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। পরিবার থেকে বলছে, অন্য কোথাও বসতে। অগ্রিম টাকা দেওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। ভয়ে আছি, আবার কোন দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই ভবনের টাইলস ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন। বিল্ডিং ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর বিপাকে পড়েছেন তিনি। অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি। বিস্ফোরণ ঘটা ভবনের নীচতলায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিস্ফোরণের পর আংশিক ক্ষতি হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানের। জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ কয়েকদিন ধরে। বর্তমানে জীবিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। মনের ভয় তো আছেই।
গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকার নর্থ সাউথ রোডের ক্যাফে কুইন মার্কেট ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছেন।
বুধবার ভবনের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিস্ফোরণ ঠিক কী কারণে ঘটেছে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক ধারণা, ভবনের বেজমেন্টে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এমকে/আরএইচ