ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আগামী বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর-মূল্যবৃদ্ধির দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
আগামী বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর-মূল্যবৃদ্ধির দাবি

ঢাকা: নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে বিড়ি সেবনে নিরুৎসাহিত হয় তাই প্রতি প্যাকেট বিড়ির দাম সর্বনিম্ন ৫০ টাকা করাসহ আগামী বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর ও মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানিয়েছ টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিকরা। শুধুমাত্র জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে তামাকজাত পণ্য উন্নয়নের কাজ করছেন তারা।

এ অবস্থা থেকে বিকল্প কর্মসংস্থান ব্যবস্থার দাবিও জানান তারা।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০২৩-২৪ বাজেটে সব ধরনের তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবিতে টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিকরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানেই এ দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, তামাকজাত পণ্য উন্নয়নের সাথে জড়িত থাকায় প্রতিনিয়তই আমরা নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা-শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, মানসিক অবসাদ ইত্যাদির সম্মুখীন হই। এই প্রক্রিয়ায় আমরা নিতান্তই জীবিকার তাগিদে যুক্ত হয়েছি। তবে আমরা চাই তামাক পণ্যের ওপর উচ্চ কর আরোপ ও মূল্য বাড়ানো হোক। পাশাপাশি আমাদের (বিড়ি শ্রমিকদের) বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার সুযোগ দেওয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে কমদামী বিড়ি ও সিগারেটের কর মূল্য ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে যাতে এগুলো আর সুলভ না থাকে।  

নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকজাত পণ্য যেন জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় এজন্য সরকারকে তামাকপণ্যের কর ও মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানান টাঙ্গাইল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ জয়মনি বেগম।

বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের তামাকের ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তামাক পণ্যের বিদ্যমান কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে সিগারেটের ব্যবহার ১৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ হবে। প্রায় ১৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে এবং প্রায় ১০ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে। দীর্ঘ মেয়াদে ৪ লাখ ৮৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ও ৪ লাখ ৯২ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠীর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। অন্যান্য স্তরের তুলনায় নিম্নস্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের ধূমপায়ীকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করবে এবং উচ্চস্তরগুলোয় সিগারেটের দাম বাড়ালে ধূমপায়ীদের সস্তা ব্র্যান্ড বেছে নেয়ার আগ্রহ কমবে।

মানববন্ধন শেষে বিড়ি শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক সদস্য স্বপ্না বেগম, জাহানারা বেগম, আসলাম মিয়া, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।