ঢাকা: দীর্ঘ অপেক্ষার পর মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ স্টেশন চালু হয়েছে। মেট্রোরেলের ষষ্ঠ ও সপ্তম স্টেশন হিসেবে এ দুটি চালু হলো।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধনের দিন উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও যাত্রী চলাচলের জন্যে খুলে দেওয়া হয়। এরপর একে একে খুলে দেওয়া হয় পল্লবী, উত্তরা সেন্টার ও মিরপুর-১০ স্টেশন। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হবে শ্যাওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের সবগুলো (৯) স্টেশন চলতি মাসে চালু হয়ে যাবে। আগামী জুলাই থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোদমে চালু হবে। ভোর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ট্রেন চলবে।
উত্তরা দক্ষিণ ও শ্যাওড়াপাড়ায় স্টেশন দুটি এ মাসের শেষ সপ্তাহে যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ সেবা শুরু হবে জুলাই মাসে। মেট্রোরেল লাইন-৬’র আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে। স্টেশনের কাজও প্রায় শেষ। এখন এক্সিট ও এন্ট্রির নির্মাণ কাজ চলছে বলেও জানান ডিমটিসিএল এমডি।
২০১২ সালে ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-৬) প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ রুটের প্রথমাংশ (উত্তরা থেকে আগারগাঁও) পর্যন্ত চালু হলেও দ্বিতীয় অংশ (আগারগাঁও থেকে মতিঝিল) চলতি বছরের শেষে চালুর কথা রয়েছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সাল নাগাদ।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ধরা হয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরবর্তীতে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বাড়তি অংশ যোগ হলে ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার। ফলে মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। এ প্রকল্পে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার খরচ করছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এনবি/এসআইএস/এমজে