ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুরে মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
মিরপুরে মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা মিরপুর থেকে ছবি তুলেছেন জাফর আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে বাজার ভেদে ৭৭৫-৮০০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৭৫ থেকে ১১৫০ টাকায়।

সুপার সপ স্বপ্নে প্রতি কেজি মাংসের দাম ৭১০ টাকা।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে মিরপুরের ১০ নম্বর সেকশন, কাজীপাড়া, শের-ই বাংলা নগর মিরপুর ২ ও ১৩ নম্বর সেকশনের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মিরপুরের-১০ নম্বর সেকশনের মাংস বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, শবে বরাতের রাতে মাংসের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। রোজা শুরু হলে গরু বেশি দামে কিনতে হলে বিক্রিও করতে হবে বেশি দামে। তবে, মাংসের দাম কিছু মানুষ জিজ্ঞেস করলেও পড়ে থাকে না। গরু জবাই করলেই বিক্রি হয়ে যায়।

মাংসের দাম বৃদ্ধির পেছনে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব থাকায় বেশি দামে দোকানিদের বিক্রি করতে হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কেউ কেউ বলছেন, বিক্রেতারা মাংসের যে দামেই চায় বিক্রি হয়ে যায়। তাই বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম হাঁকে। ক্রেতারাও এসব বিষয়ে গাঁ করে না। এমন আলোচনা করতেই রোকেয়া স্মরনীর তালতলা বাজারের ক্রেতা আবিদুল ইসলাম বলেন, না কিনেই বা লাভ কি? ওরা যে দাম বলে সেই দামেই বিক্রি করে। দেখার কেউ নেই। যা ইচ্ছা তাই করে ওরা। কেন দাম বাড়াচ্ছে, এ নিয়ে কথা বলা মানে এক ধরণের তর্কে জড়ানো। তাছাড়া প্রতিদিন তো মাংস কিনতে আসিনি, সপ্তাহে একদিন বা দুই সপ্তাহে একদিন মাংস কিনতে বাজারে আসতে হয়।

বাজারে মুরগি ও ডিমের দামও চড়া। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। লেয়ার মুরগি বাজার ভেদে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ টাকা। আর দেশি মুরগির কেজি ৬০০ টাকা। ডিমের হালি ৪৫ টাকা; প্রতি ডজন ১৩০ টাকা।

কম আয়ের শ্রমজীবী মানুষের আমিষের প্রধান ভরসা ব্রয়লার মুরগি। এ মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। সপ্তাহ আগে দুইশ টাকার আশপাশে ছিল। চলতি বছরের  শুরুতে বিক্রি হতো ১৫০ টাকার নিচে। ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামে বৃদ্ধিতে নির্দিষ্ট আয়ের শ্রমজীবী মানুষ সমস্যায় পড়েছে। আয় দিয়ে ব্যয় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।  

ঢাকা সিটি করপোরেশনও গরুর মাংসের দাম ইচ্ছা মতো নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই বিক্রেতারা বেশি দাম নিচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ মাংস বিক্রেতা সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৬ সালে সিটি করপোরেশন মাংসের বাজার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এতে বাজার লুটের সুযোগ হয়েছে। বাজারে মাংস বিক্রিতে দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে। গরু জবাইয়ের জায়গা নির্ধারণ করে দিতে হবে। গরু কেনার বাজারে খাজনা নেওয়া হয় ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। খাজনা কমিয়ে ১০০ টাকা করতে হবে। এটা করা হলে গরুর মাংসের দাম কমানো সম্ভব। ভারত থেকে মাংস আমদানি করা হয়। কত দামে মাংস আমদানি করছে ও কত দামে বিক্রি তা সরকারের মনিটারিংয়ের মধ্যে আনতে হবে। এতে করে দেশের মানুষ মাংস খেয়েও স্বস্তি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭,২০২৩
জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।