সিরাজগঞ্জ: বিভিন্ন অভিযানে জব্দ করা মালামালসহ গোডাউনে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত আসবাবপত্র নিলাম ছাড়াই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে।
নিলাম কমিটি গঠন করে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রির বিধান থাকলেও ওইসব মালামাল ভাঙারি দোকানে বিক্রি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনকারীদের ড্রেজার মেশিনসহ অবৈধ আসবাবপত্র ও মালামাল জব্দ করেন। জব্দ করা ওইসব মালামালসহ গোডাউনে পড়ে থাকা শ্যালো ইঞ্জিন, পুরাতন স্টিল আলমারি, কাঠের আসবাবপত্র, নষ্ট জেনারেটর, নষ্ট কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, আইপিএস ইত্যাদি পরিত্যক্ত মালামাল নিলাম বোর্ড গঠন ছাড়াই ভাঙারি দোকানে বিক্রি করেছেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সাইফুল ইসলাম। আর উল্লেখিত মালামাল বিক্রির টাকাও কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জোতপাড়া লেদুর মোড় এলাকার ভাঙরি দোকানদার মো. এমদাদুল হক বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে ডেকে নিয়ে গোডাউনে থাকা কিছু পুরাতন নষ্ট মালামাল বিক্রির জন্য দেখান। পরে মালামালগুলো আমি ৮৬ হাজার টাকায় কিনে নেই।
নিলামের মাধ্যমে কিনেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোডাউনে থাকা মালগুলো লট ধরে আমি দামাদামি করে কিনে নিয়েছি, সেখানে কোনো নিলাম হয়নি আর সেখানে অন্য কেউ ছিল না।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে হেয় করার জন্য একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে চক্রান্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, জব্দ করা কিছু নিলাম যোগ্য হলে সেটি নিলাম করে বিক্রি করে সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। আমার অফিসের কেউ এ ধরনের জিনিস গোডাউন থেকে সরিয়েছে বা বিক্রি করেছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। আর কোনো সহকারী যদি কিছু বিক্রি করে থাকেন তাহলে তার দায় দায়িত্ব আমার না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
এসআইএ/এফআর