বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের আহম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. মফিজুল ইসলামের (৪৬) ওপর হামলা করেছেন নিয়োগপ্রত্যাশী হাসিবুর রহমান কাজী ও তার দুই ভাই।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অন্য আহতরা হলেন- মাদরাসার সহকারী শিক্ষক খলিলুর রহমান, অফিস সহকারী আব্দুল খালেক, দপ্তরি সাদেকুর শিকদার, তার ভাই বাহাদুর শিকদার ও ছেলে ফয়সাল শিকদার এবং নিয়োগপ্রত্যাশী হাসিবুর রহমান কাজীর ভাই ওই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসান। আহতরা মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মাদরাসায় অনুষ্ঠান চলছিল। হঠাৎ করে সকাল ১১টার দিকে সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসান, তার ভাই হাসিবুর রহমান কাজী ও আব্দুস সোবহান সোহাগ মাদরাসার মধ্যে প্রবেশ করে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমিসহ ছয়জন আহত হয়েছি। সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসানসহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এদিকে হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত হাসিবুর রহমান কাজীর ভাই ওই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আবুল হাসান বলেন, মাদরাসার নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে সুপার মো. মফিজুল ইসলাম আমার ভাই হাসিবুর রহমান কাজীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু গোপনে অফিস সহকারী পদে অন্য আরেকজনকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগের জন্য নেওয়া টাকা ফেরত চাইতে আমার দুই ভাই মাদরাসায় গেছিল। তখন সুপার, দপ্তরি ও বহিরাগত কয়েকজন আমার ভাইদের ওপর হামলা করে। তাদের ঠেকাতে গিয়ে আমিও আহত হয়েছি।
হাসিবুরের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেও, হামলার সঠিক কোনো কারণ জানাতে পারেননি মাদরাসা সুপার মো. মফিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কেন হামলা করেছে আমি জানি না।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, মাদরাসায় হামলার ঘটনা শুনেছি। উভয়পক্ষ পরস্পর আত্মীয়, এদের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ ছিল। যার কারণেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
আরএ