ঢাকা: পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরান খান হত্যাকাণ্ডের আসামি আরাভ খান মামলার এজাহারভূক্ত ‘রবিউল ইসলাম’ নামেই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছিলেন। ঠিকানা হিসেবে বাগেরহাট জেলাও উল্লেখ করেছিলেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এনআইডি অনুযায়ী, রবিউল ইসলামের জন্ম ১৯৮৭ সালের ১৯ আগস্ট। পড়ালেখা করেছেন মাধ্যমিক পর্যন্ত, জন্মস্থান বাগেরহাট ও রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ। রবিউলের বাবা মতিউর রহমান, মাতা লাখি ও স্ত্রীর নাম রুমা। তার বয়স এখন ৩৫ বছর ৭ মাস।
এনআইডিতে আরাভ খান স্থায়ী ও বর্তমান উল্লেখ করেছেন বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার কোদলিয়া ইউনিয়নের আড়ুয়াডিহি গ্রাম।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আশুতিয়া গ্রামের দিনমজুর মতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লাই আরাভ খান। মতিয়ার রহমান মোল্লা একসময় চিতলমারী উপজেলায় ফেরি করে সিলভারের হাঁড়িপাতিল বিক্রি করতেন। ১৯৮৮ সালে রবিউল ইসলামের জন্ম হয়। গ্রামের বেশিরভাগ লোক তাকে সোহাগ মোল্লা নামেই ডাকতেন। ২০০৫ সালে চিতলমারী সদরের একটি বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি পাস করেন। অভাবের কারণে তার লেখাপড়া আর এগোয়নি। ২০০৮ সালে চিতলমারী থেকে ঢাকা আসে রবিউল ইসলাম।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যাকাণ্ডের আসামি এই রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা।
রাজধানীর বনানীতে তার অফিসে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল। এরপর তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যাস। ভারতের কোলকাতার নারায়ণপুর বস্তিতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপন করে। সেখানে বিয়েও করে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা।
এরপর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। সেই পাসপোর্ট দিয়েই পাড়ি জমায় দুবাইয়ে। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশে পুলিশ সদস্য হত্যার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা ভারত থেকে দুবাইতে গিয়ে হয়ে গেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান।
বাংলাদেশ সময়: ২৪১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
ইইউডি/এসএএইচ