ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কোরআন শরিফ বিতরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কোরআন শরিফ বিতরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ছয় হাজার ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে কোরআন শরিফ বিতরণ করেছে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় কোরআন শরিফ বিতরণ করা হয়।

 সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।

শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম ময়মুন কবির, কালের কণ্ঠের শুভ সংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, শাহ রাহাত আলী কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. সমীর আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র কর্মকর্তা আমির হোসেন আনোয়ার প্রমুখ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট মহাগ্রন্থ আল কোরআন। লেখাপড়ার পাশাপাশি আল কোরআন পাঠ করে এবং তার দিক নির্দেশনা মেনে জীবন গড়ে তুলবে। মার্চ মাস আমাদের বিজয়ের মাস। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। এদেশের সুরক্ষার দায়িত্ব তোমাদেরই নিতে হবে। তোমাদের দেশপ্রেমিক হয়ে মানুষের সেবা আত্মনিয়োগ করতে হবে।

সভায় বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ কাজ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে। করোনাকালে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার বিভিন্ন খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষের মাঝে মাসব্যাপী খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এবছর শীতকালে বস্ত্রহীন শীতার্তদের মধ্যে দেশের জেলাগুলোতে বসুন্ধরা গ্রুপ হাতে হাতে কম্বল বিতরণ করেছে।

বাঞ্ছারামপুরে ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসাপত্রসহ ওষুধ বিতরণ, ৯৮টি দ্বীন প্রতিষ্ঠানে এতিম ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাসিক শিক্ষাবৃত্তসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছে।

কোরআন শরিফ উপহার পেয়ে খুশিতে নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমি জীবনে অনেক উপহার পেয়েছি। আজকের উপহারটি আমার জীবনে সর্বশ্রেষ্ট উপহার বলে মনে করি। সমানে রোজা রেখে আমি কোরআন শরিফ পাঠ করব। বসুন্ধরা মালিকপক্ষের জন্য দোয়া করবো।

সভা শেষে ৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিত ছয় হাজার ছাত্র-ছাত্রীর হাতে কোরআন শরিফ তুলে দেওয়া হয়। এতে আটটি কলেজ, ১০টি মাদ্রাসা এবং ২১ হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।