ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কখনও ভাবিনি নিজের জমি হবে, দালানে থাকব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
কখনও ভাবিনি নিজের জমি হবে, দালানে থাকব

বাগেরহাট: বাগেরহাটে আবারও জমিসহ ঘর পেলেন হতদরিদ্র ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার। বুধবার সকালে (২২মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাআনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চ্যুয়ালি এই ঘর বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

 

পরে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূমিহীন পরিবারগুলোর মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।  

এসময় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভুঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাছির উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বুলবুল কবির, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিনামূল্যে জমিসহ ঘর পেয়ে খুশি হতদরিদ্ররা। বাগেরহাট সদর উপজেলার লাউপালা আশ্রয়কেন্দ্রে জমিসহ ঘর পাওয়া শিখা রানী অধিকারী বলেন, কখনও ভাবিনি দালানে থাকব, নিজের জমি হবে, জমির মালিক হিসেবে স্ট্যাম্পের ওপর নিজের ছবি থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই জমিসহ ঘর পেলাম, স্থায়ীভাবে দালানে থাকতে পারব এটা ভেবেই ভালো লাগছে।

একই আশ্রয়ণকেন্দ্রে ঘর পাওয়া ফাতেমা বেগম বলেন, নিজের জমি না থাকায়, রাস্তার পাশে এবং মানুষের বাড়িতে থাকতাম স্বামী সন্তান নিয়ে। জমিসহ ঘর পেয়েছি, নিজের ঠিকানা হয়েছে। বাকি জীবন এখানেই কাটাতে চাই।

শুধু ফাতেমা এবং শিখা নয়, বাগেরহাট জেলায় ঘরপ্রাপ্ত ৬৯৬ ভূমিহীন পরীবারের সদস্যদের অভিব্যক্তি একই রকম।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ১২৫টি ও চতুর্থধাপে ৫৭১টি মোট ৬৯৬টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে।  

এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৪, মোংলায় ২২০, মোরেলগঞ্জে ১৩৭, কচুয়ায় ১০, ফকিরহাটে ৭৫, মোল্লাহাটে ৮৩, রামপালে ২০, চিতলমারী ৩২টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৭৫টি ঘর রয়েছে। চতুর্থধাপে প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার, ৫শ টাকা। দুই শতাংশ জমিতে নির্মাণ করা প্রতিটি বাড়িতে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেটও একটা বারান্দা রয়েছে। বারান্দার সামনে ফাঁকা জায়গাও রয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরে থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হতদরিদ্রদের মধ্যে এই ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখানে ভালো থাকবেন। ঘরপ্রাপ্তদের সবধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আশপাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়, খেলার মাঠ, ফুল-ফলের বাগান করে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে সুপেয় পানি প্রাপ্ত নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে নলকূপ।  এছাড়া উপকারভোগীদের আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।