ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিএনজিচালক গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিএনজিচালক গ্রেফতার

ঢাকা: রাজধানীর আদাবরে ঢাকা উদ্যান লেগুনাস্ট্যান্ডে নয় বছরের এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মো. সেলিম (৩৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।   তিনি পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দিনগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন খালপাড় হাজীপাড়া রোড এলাকার একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় শিশুটিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ইকবাল রোড থেকে তুলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ায় ব্যবহৃত সিএনজিটিও জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, বড়বোনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর শিশুটি একা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। একা পেয়ে তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে অটোরিকশাচালক ও তার এক সহযোগী।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলপকালে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

তিনি বলেন, গত ১৪ মার্চ মধ্যরাতে আদাবর থানার বেড়িবাঁধের পাশের লেগুনাস্ট্যান্ডে দুই ব্যক্তি এক শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় জানা যায়, মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোড থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশার এক চালক ও তার সহযোগীে শিশুটিকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একটি সন্দেহজনক সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে চিহ্নিত করা হয়।

এছাড়া শিশুটির দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঢাকা উদ্যান, নবোদয় হাউজিং, শিয়া মসজিদ, তাজমহল রোড, ইকবাল রোড এলাকার ২৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই অটোরিকশার নম্বর শনাক্ত করা হয়। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে সেলিমের সহযোগী পলাতক রয়েছে। তার বিস্তারিত নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান এই ডিএমপি কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় বড় বোনের সঙ্গে ঘুরতে বের হয় শিশুটি। রাত নয়টার দিকে মোহাম্মদপুরের টাউনহল এলাকায় বড় বোনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। বড় বোন রাগ করে শিশুটিকে ফেলে অন্য বান্ধবীদের সঙ্গে চলে যায়।

তখন শিশুটি একা হাঁটতে হাঁটতে ইকবাল রোডের দিকে যায়। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে চালক সেলিম ও তার সহযোগী শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠায়। এরপর প্রথমে পলাতক আসামি ও পরে সেলিম শিশুটিকে ধর্ষণ করে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পরে শিশুটিকে ছেড়ে দিলে সে হেঁটে শিয়া মসজিদ এলাকায় গেলে বড়বোনের সঙ্গে দেখা হয়। বোন তার রক্তক্ষরণ দেখে দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির অবস্থা গুরুতর দেখে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে শিশুটি ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
পিএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।