হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বাজারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই যেখানে সেখানে গরু-ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। আর দাম নেওয়া হচ্ছে বেশি।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) উপজেলার কালাউক ও বুল্লা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
দেখা যায়, বাজারের সড়ক ও ভবনের পাশে গরু জবাই করা হচ্ছে। পরে জনবহুল স্থান ও সড়কের পাশে বসেই বিক্রি করা হচ্ছে সেই মাংস। পশুর বর্জ্য ফেলা হচ্ছে পাশের খাল বা নদীতে।
বুল্লা বাজারে সড়কের পাশে কয়েকজন বিক্রেতাকে খোলা জায়গায় খাটের ওপরে পলিথিন বিছিয়ে মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে। ধুলাবালু মিশ্রিত মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয়রা জানান, বুল্লা ও কালাউক বাজারে বিক্রেতারা ওষুধের মাধ্যমে মোটাতাজা করা, অসুস্থ ও দুর্ঘটনায় আহত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন। গরুর মাংসের নির্ধারিত দাম ৬৫০ টাকা হলেও এখানে ক্রেতারা যে যার মতো করে দাম নিচ্ছেন।
উপজেলা প্রণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পশু বিক্রি ও লাইসেন্স নিতে হয় ক্রেতাদের। এ কথা তাদের বলাও হয়েছে। তাদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি সভাও করা হয়েছে। কিন্তু তারা এ নির্দেশনা মানছেন না।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নোটিশ দেওয়ার পরও মাংস বিক্রেতারা লাইসেন্স নিতে আসেননি। তবে স্থান নির্ধারণ ও মাংসের চড়া দাম আমরা রুখতে পারি না। এটি প্রশাসনের কাজ।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা সুলতানা বলেন, মাংসের দাম ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু জবাই ও মাংস বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে বাজার তদারকি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
এসআই