ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভিয়েতনামে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
ভিয়েতনামে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ঢাকা: ভিয়েতনামে যথাযোগ্য মর্যাাদায় ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে ।  

রোববার (২৬ মার্চ) হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত জাতীয় পতাকা উত্তোলন,  রাষ্ট্রপতি,  প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও  পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বিশেষ প্রার্থনা, আলোচনাসভা এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।

দিবসটি উপলক্ষে ভিয়েতনামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, প্রবাসী বাংলাদেশিরা, ভিয়েতনামের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, মিডিয়া এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনের প্রথম পর্যায়ে দূতাবাসে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে জাতীয় দিবসের সূচনা করেন। পরে দূতাবাসে এক বিশেষ প্রার্থনায় স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহিদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদ ও আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতিতা মা-বোন, জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফেরাত এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আলোচনার প্রারম্ভে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বক্তব্য দেন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা মুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি।

রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞচিত্তে আরও স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, যারা দেশের জন্য জীবন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগের কথা। আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভারতসহ বিদেশি বন্ধুদের প্রতি যারা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ধরে, তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গত চৌদ্দ বছরের অভূতপূর্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং একটি  মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত করার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সমস্যা মোকাবিলা, শিশু মৃত্যুর হার কমানোসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং অগ্রগতি বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬,   ২০২৩,
টিআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।