পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের গাড়িচালক সম্রাট হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেফতার সীমা খাতুনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে পাবনা আমলী আদালত-২ এর বিচারক শামসুজ্জামান দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) তহিদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমা খাতুনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। দুদিন পর আগামী মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সীমা খাতুনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সীমা খাতুন নিহত সম্রাটের বন্ধু আব্দুল মমিনের স্ত্রী। তার বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন আব্দুল মমিন। নিহত সম্রাটের বাড়ি একই উপজেলার মধ্য অরনকোলা আলহাজ ক্যাম্প এলাকায়।
শনিবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী থানায় নিহত সম্রাটের বাবা আবু বক্কার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সম্রাটের বন্ধু আব্দুল মমিন ও তার স্ত্রী সীমা খাতুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন থেকে চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্রাটের বন্ধুর স্ত্রী সীমা খাতুনকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। মামলার পর তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
শনিবার সকালে পাবনার সীমান্তর্তী কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট এলাকায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি গাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাডো জিপের ভেতর থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন সম্রাট হোসেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বাংলানিউজকে জানান, নিহত সম্রাট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরডিবি নামে একটি যানবাহন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান নিকিমত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউরি ফেদারোপের ব্যবহৃত গাড়িটি চালাতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
আরএ