ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে ভেঙে পড়ল ৫ কোটি টাকার নির্মাণাধীন ব্রিজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
ফরিদপুরে ভেঙে পড়ল ৫ কোটি টাকার নির্মাণাধীন ব্রিজ ছবি: বাংলানিউজ

ফরিদপুর: জেলার নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের মাঝিকান্দা তালমার খালের ওপর প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ হঠাৎ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ব্রিজের পিলারও বেঁকে গেছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) নির্মাণাধীন এ ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তারা জানান, রাতের আঁধারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া নির্মাণ কাজে দেখভালের জন্য ছিল না উপজেলা প্রকৌশলী দফতরের কেউ। এ কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্মাণে চরম অনিয়ম হওয়ার কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। পড়ে তড়িঘড়ি করে ব্রিজটি আবার সংস্কার করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে ভবিষ্যতে আবারও এটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এক্ষেত্রে ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (ব্রিজের দায়িত্বে থাকা এসও) মিরান হোসেন বলেন, ব্রিজটির উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে ধসে পড়েছে। আমরা এত উঁচু ব্রিজের কাজ আগে কখনও করি নাই। ব্রিজ ভেঙে পড়ার আগে ঢাকা থেকে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এসে ব্রিজ পরিদর্শন করেছেন এবং অতি দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রেজাউল করিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশারফ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকেও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ব্রিজ ভাঙ্গার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ব্রিজের কিছু অংশ ভেঙেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের এলজিইডির (স্থানীয় সরকার বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান খাঁন বলেন, স্টেজিং ভালো না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। নিচের দিকে যেভাবে করার দরকার ছিল, সেভাবে হয়নি। এটা একজন ঠিকাদারের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ক্ষতির দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, কাজের মান খারাপ হওয়ার কোনো সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই। দুইপাশের ঢালাই আরও কিছু ভেঙে নতুন করে স্টেজিং করতে হবে। তবে এর জন্য নতুন করে কোনো বরাদ্দের সুযোগ নেই। ঠিকাদারের নিজস্ব অর্থায়নেই ঠিক করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।