ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সরঞ্জাম-জনবল সংকটে নীলফামারীর ৮ ফায়ার স্টেশন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
সরঞ্জাম-জনবল সংকটে নীলফামারীর ৮ ফায়ার স্টেশন

নীলফামারী: আগুন নেভাতে ও বিপদে ফায়ার ব্রিগেডের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে ফায়ার ব্রিগেডের, কিন্ত সক্ষমতা বাড়েনি এ সংস্থার।

বিশেষ করে বসতবাড়ি ও স্থাপনা বাড়লেও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়েনি নীলফামারীর ছয় উপজেলার ৮টি ফায়ার স্টেশনে। ফলে ছোটখাট অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও বড় ধরনের ঘটনায় বিপাকে পড়েন ফায়ার ফাইটাররা। এ অবস্থায় আগুন নেভানো ও উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাদের।

সূত্র জানায়, জেলায় আগের চেয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনেক বেড়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে বাড়েনি দক্ষ জনবল ও আধুনিক সরঞ্জাম। জেলায় ৮টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় একটি, ডোমার উপজেলায় একটি, ডিমলায় একটি, জলঢাকায় একটি, কিশোরগঞ্জে একটি, সৈয়দপুরে একটি, উত্তরা ইপিজেডে একটি ও চিলাহাটিতে একটি। এর মধ্যে ‘এ’ শ্রেণি হচ্ছে সদর, সৈয়দপুর ও উত্তরা ইপিজেড স্টেশন। বাকি পাঁচটি হলো ডোমার ও চিলাহাটি ‘বি’, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা ‘সি’ ক্যাটাগরির।

এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, জেলা সদর ও সৈয়দপুর ৩৯ জন করে, উত্তরা ইপিজেডে ৩২ (১ম শ্রেণি), ডোমারে ও চিলাহাটিতে ২৪, ডিমলা ১০, কিশোরগঞ্জ ১৪ ও জলঢাকায় ১৪ জন এবং নীলফামারী উপ-সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে ৫ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট ২০১ জন ফায়ার ফাইটারের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছে ১৭৮ জন।

এছাড়াও জলঢাকা, সৈয়দপুর ও নীলফামারী সদরে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও বাকি পাঁচটিতে নেই। ফলে আগুনে দগ্ধ ফায়ারম্যান ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে নিতে বিপাকে পড়তে হয়।

জেলার ৮টি ফায়ার স্টেশনে বিভিন্ন পদে ২০১ জন থাকার কথা থাকলেও আছেন ১৭৮ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির ফায়ার স্টেশনগুলোতে জনবল থাকার কথা ২৭ জন, কিন্ত এর বিপরীতে ফায়ারম্যান রয়েছে ১৪ জন, আর ডিমলায় (তৃতীয় শ্রেণি) ১৬ জনের স্থানে ১০ জন।

ডিমলা ফায়ার স্টেশনের টিম লিডার মোজাম্মেল হক জানান, আগের চেয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা অনেক বেড়েছে। তবে উপজেলাগুলোতে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়েনি। আগুন নেভানো ও উদ্ধারকাজের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতিরও সংকট রয়েছে। জনবল যা আছে, তা পর্যাপ্ত নয়, ফলে বড় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হয়। অগ্নিনির্বাপণ কাজের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ডিমলা ফায়ার স্টেশনে পানিবাহী গাড়িসহ অন্যান্য গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স দরকার। দীর্ঘদিনেও তার ব্যবস্থা হয়নি।

জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, পৌর এলাকার কিছু কিছু মহল্লায় আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। গ্রামের সড়কগুলো প্রশস্ত না হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকানো যায় না।

তিনি বলেন, এখানে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে সদর উপজেলা। আমাদের যে গাড়িটি আছে, এটা পৌর এলাকার মধ্যে চলাচলের উপযোগী। আমাদের যেসব স্টেশন ‘সি’ শ্রেণিতে রয়েছে সেগুলোকে ‘বি’ ও যেগুলো ‘বি’ শ্রেণিতে আছে সেগুলোকে ‘এ’ শ্রেণিতে আনা প্রয়োজন। দ্রুত এসব কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।