ঢাকা: রোজার মাসে দ্বিতীয় কর্মদিবস ছিল আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ)। সারাদিন রাজধানীর মূল সড়কগুলো ছিল পরিবহনে ঠাসা।
সারা দিন রাজধানীর মিরপুর, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, বিজয় স্মরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও আশপাশের এলাকা ঘুরে তীব্র যানজট দেখা গেছে। প্রতিটি সড়কেই পরিবহনের চাপ ছিল অত্যাধিক। এতে পথচারী, বাস-কারের যাত্রী, মোটর সাইকেল আরোহী পড়েন চরম বিপাকে। রোজা রেখে খানিকটা গরমে তাদের পরিস্থিতি হয়ে ওঠে ওষ্ঠাগত।
সকাল থেকে লেগে থাকা যানের জট স্বাভাবিক করতে ট্রাফিক বিভাগ থেকে ব্যাপক চেষ্টা করা হয়। জট কমতে শুরু করে ইফতারের কিছুক্ষণ আগ থেকে। ইফতারের সময় বাস-কারের যাত্রীদের পরিবহনেই ইফতার করতে দেখা গেছে। ইফতারের পর থেকে রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করে।
জানা গেছে, রাস্তার জ্যামে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে অনেকেই পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ফুডকোর্টে ইফতার করেছেন। কেউ কেউ আবার ফুটপাতের ওপর গড়ে ওঠা ছোট ছোট টংয়ের হোটেলে ইফতার সেরেছেন।
রায়হান রহমান নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, প্রচণ্ড জ্যাম বসেছিলাম। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছিল তাই বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে ইফতার করেছি। শুনেছি জ্যাম কম, তাই এখন বাসায় ফিরব।
কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে বিহঙ্গ পরিবহনে উঠেছিলেন কায়সার আলম। কাজিপাড়ায় বাসায় ফিরছিলেন তিনি। জ্যামের কারণে বাসায় গিয়ে ইফতার ধরতে পারেননি তিনি।
তীব্র যানজটে বিরক্ত রাজধানীর বাস চালকরাও। সকাল থেকে তাদের নির্ধারিত যে কটি ট্রিপ, সেগুলো পূরণ করতে পারেননি তারা। বিকল্প পরিবহনের চালক রহমত মিয়া বলেন, সারা দিন ধইরা জামের মধ্যে, ঠিক মতো ট্রিপ মারতে পারি নাই। ইফতারও বাসের ভিতরে বইসা করন লাগসে। এমনে চলতে থাকলে তো ইদের বেতনে পোষাইবো না।
বিভিন্ন সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে লেগে থাকা জট নিরসনে তাদের ব্যাপক বেগ পোহাতে হয়েছে। কর্মদিবসের প্রথম দিন থেকে আজ জ্যাম অনেক বেশি। সারাদিন তারা যানজট নিরসনে ব্যস্ত ছিলেন। ইফতারের পর থেকে রাস্তায় জট কমতে শুরু করেছে। রাতের মধ্যে এটি আরও কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
এমএমআই/এমজে