টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মেয়ের বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসা করতে যাওয়া হাসান মিয়া ওরফে হাসু (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইড় গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ হিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত হাসান মিয়া ওরফে হাসু মির্জাপুর পৌর এলাকার পুষ্টকামুরী গ্রামের মোকছেদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে হাসান মিয়ার মেয়ে রুবিনার (২৫) সঙ্গে ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইড় গ্রামের মফেজ উদ্দিনের ছেলে সৌদি প্রবাসী জুয়েল মিয়ার বিয়ে হয়। কয়েকদিন আগে বাড়ির সীমানা নিয়ে দেবর সজল, ননদ নিলুফা, শ্বাশুড়ি লাইলি বেগম ও দেবরের স্ত্রী ঝুমার সঙ্গে ঝগড়া হয় রুবিনার।
এক পর্যায়ে গত সোমবার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার রুবিনা বাবার বাড়ি চলে আসেন। বিষয়টি মিমাংসার জন্য শুক্রবার সকালে হাসান মিয়া মেয়ে রুবিনা, ছেলে রাকিব ও মেয়ে জামাই মান্নানকে নিয়ে রুবিনার শ্বশুরবাড়ি সরিষাদাইড় গ্রামে যান। সেখানে সীমানা বিরোধ নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুবিনার দেবর সজলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসান মিয়াকে এলোপাথারি কিলঘুষি মারে। এতে হাসান মিয়া অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হাসান মিয়ার ছেলে রাকিব জানান, আমরা বোনের বাড়িতে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতেই বোনের দেবর সজলসহ বাড়ির লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমার বাবাকে এলোপাথারি কিলঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায় বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বাংলানিউজেক জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এসএ