ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় চিকিৎসকের অবহেলায় এক প্রসূতি মা ও গর্ভে থাকা নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১ এপ্রিল) দিনগত রাতে উপজেলা সদরের সুরমা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

 

খবর পেয়ে প্রসূতির স্বজনরা বিক্ষোভ করেন ওই ক্লিনিকে। এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে রাতেই পালিয়ে যান ক্লিনিকের পরিচালকসহ অভিযুক্ত চিকিৎসক। পরে বোদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের রাজাগাঁও ইউনিয়নের সাবিত্রী (২২) নামে এক সন্তানসম্ভবা শনিবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। প্রসূতির শারীরিক অবস্থা জানিয়ে তার স্বামী কমল রায় ক্লিনিক কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করেন। এক পর্যায়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ওই নারীকে ক্লিনিকে ভর্তি করে ব্যবস্থাপত্র দেন এবং জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য ওটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে বোদা মাতৃমঙ্গল কেন্দ্রের সার্জারি চিকিৎসক রহমতুল্লাহ ও আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হুদা দায়িত্বরত ছিলেন।

অস্ত্রোপচার শুরু করার কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কাউকে কিছু না বলে চিকিৎসকরা চলে যান। এর ঘণ্টাখানের পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ প্রসূতির স্বজনদের ডেকে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে রোগীকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। তবে এর আগেই নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।  

মৃতের স্বামী কমল রায় অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্ত্রী সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। সিজারের কথা বলে তাকে অপারেশন রুমে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যু হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কাউকে কিছু না বলে গোপনে অন্যত্র নিয়ে যান এবং মিথ্যা আশ্বাস দেন। চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর বিচার দাবি করছি।  

তবে এ ঘটনার পর থেকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।  

এদিকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আনন আফসান বাংলানিউজকে বলেন, প্রসূতিকে এখানে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তাই নবজাতককে বাঁচানোর চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।