ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড ট্রেনে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড ট্রেনে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন

ঢাকা: বাংলাদেশে রেলওয়ের বড় ধরনের উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম হাই স্পিড রেললাইন নির্মাণের চীনের আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত। রেল ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে রাষ্ট্রদূত পাঁচ সদস্যের একটি চীনা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
    
তিনি বলেন, চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প হচ্ছে। বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে চীনের বিশাল অভিজ্ঞতা আছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। আমরা বাংলাদেশ রেলেওয়ের উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

চীনের অর্থায়নে নির্মাণাধীন আখাউড়া-সিলেট এবং জয়দেবপুর-জামালপুর ডাবল লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে নেগোসিয়েশন দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যেও তাগাদা দেন তিনি।
 
বৈঠকের বিষয়ে পরে রেলমন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। চীনের অর্থায়নে এখন পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান আছে।

তিনি বলেন, রেলওয়ে একসময় অবহেলিত ছিল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এই সেক্টর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বঙ্গবন্ধু সেটি পুনঃস্থাপিত করেন। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেন। তারপর থেকে রেলের উন্নয়ন হচ্ছে।
              
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা প্রয়োজন। বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যই রেলের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটার গেজ দ্বারা বিভক্ত। আমরা পুরোটাই ব্রডগেজে রূপান্তরের চিন্তা করছি এবং সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিঙ্গেল লাইনকে আমরা ডুয়েলগেজ করছি। চীন আমাদের অনেক প্রকল্পে সাহায্য করছে। আশাকরি ভবিষ্যতে এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে।
         
বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে চলমান ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ কাজ চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যেন দ্রুত শেষ করে সেই লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানানো হয়। কারণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উক্ত কাজ করতে আগ্রহী নয়।
             
বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩   
এনবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।