ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘নকল ও ভেজাল কসমেটিকস বিক্রি করলে ব্যবস্থা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
‘নকল ও ভেজাল কসমেটিকস বিক্রি করলে ব্যবস্থা’

ঢাকা: নকল ও ভেজাল কসমেটিকস তৈরি ও বিক্রি করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কসমেটিকস পণ্যে বিষাক্ত কেমিকেল ব্যবহার করা হয়, যা ভোক্তার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

এই ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জাতীয় অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারক, বাজারজাতকারী ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, কসমেটিকস যেহেতু প্যাকেটজাত পণ্য, তাই এটি তৈরি ও বিক্রিতে মোড়কজাতকরণ বিধিমালা অনুসরণ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না এবং আমদানিকারক কর্তৃক বিক্রয় মূল্য দেওয়া থাকে না।  এসব দিতে হবে।

কসমেটিকস ব্যবসায়ীদের প্রচলিত আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নকল ও ভেজাল কসমেটিকস পণ্য বিক্রি করে ভোক্তাদের প্রতারিত করবেন না। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

এ সময় তিনি রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীদের আগামী রোববারের মধ্যে ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি সুপার শপগুলো যদি এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনতে পারে তাহলে সবাই তা করতে পারবে।

সভায় ব্যবসায়ীদের বিএসটিআই'র মোড়কজাতকরণ বিধিমালাসহ সংশ্লিষ্ট আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এর ব্যতয় হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় কসমেটিকস পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য এবং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উপাদান, পরিমাণ, ব্যবহারবিধি, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা নিয়ে আলোচনা হয়।  

পাশাপাশি প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে খুচরা বিক্রেতা নিজেই সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রদান করা, আমদানিকারক কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য কেটে অধিক মূল্য লেখা, দেশে তৈরি পণ্য বিদেশি বলে বিক্রয় করা, নকল কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিক মানদণ্ড না থাকা এবং বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ বা অনুমোদনহীন কসমেটিকস বিক্রি বিষয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া সম্প্রতি মৌলভীবাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চালানো অভিযানে ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ নিয়েও আলোচনা করা হয়।

পরে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিসহ অন্যান্য নেতারা এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

তারা জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি নেবে না এবং এই ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সমিতির পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আগামীতেও এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন তারা।

সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলার অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, ক্যাবের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কসমেটিকস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়:২৩45 ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
এসসি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।