ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তালতলীতে ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
তালতলীতে ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

বরগুনা: সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক,ব্যবসায়ী,চাকরিজীবী, ছাদ জমানো বাড়ির মালিক কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের পরিবারের কারো নামে কার্ড করার বিধান নেই। কিন্তু বরগুনার তালতলীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তার স্ত্রীর নামে দুস্থদের ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


এই পরিবার প্রতি মাসে ভিজিডির ৩০ কেজি করে চাল তুলে নিচ্ছে। আর এতে বঞ্চিত হচ্ছে অসহায় ও দুস্থরা। হতদরিদ্র-দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ভিজিডি কার্ড বিতরণে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বড়বগী ইউনিয়নে। বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করবে বলে জানিয়েছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ সেলিম। তিনি মেনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার স্ত্রী সালমা বেগমের নামে ২০২৩-২৪  অর্থ বছরে ভিজিডি কার্ড হয়েছে। তিনি এই ভিজিডি চালও তুলে নিয়েছেন। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। সেখানে তিনি দাবি করেন নিজেই হতদরিদ্র-দুস্থ। তার তিনটি সন্তান ও আয়-রোজগারের করার কোনো মাধ্যম নেই।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,ইউনিয়ন পরিষদের তালিকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়া গ্রামে ৪২ নম্বর সিরিয়ালে ভিজিডির কার্ডধারী সালমা বেগমের নামে একটি ভিজিডি কার্ড রয়েছে। তার নামে ২০২৩-২৪ সালের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ইস্যুকৃত কার্ডে ভিজিডির চাল পাচ্ছেন তিনি।

সালমা বেগমের স্বামী শাহ নেওয়াজ সেলিম বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি এটা সঠিক। আমার স্ত্রীর নামের ভিজিট কার্ড আছে এটাও সঠিক। আমাদের ভিজিডি তালিকায় নাম দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।  

বড়বগী ইউনিয়ন সচিব এমরান হোসাইন বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই কার্ড বাতিলের জন্য রেজুলেশন করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তার ইউনিয়ন পরিষদ ভিজিডি কার্ড নম্বর ১৩৫।  

এ বিষয়ে বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলম মুন্সী বলেন, এই ভিজিডি নামের তালিকা উপজেলা চেয়ারম্যান দিয়েছেন। আপনারা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।  

তালতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ পাওয়ার পরে এই শিক্ষকের স্ত্রীর নামের ভিজিডির কার্ডটি বাতিল করে নতুন কারো নামে কার্ড তৈরি করা হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এটাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন,ভিজিডি কার্ডের নামের তালিকা দেওয়ার সময় ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী সুপারিশ করা হয়েছে। ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নাম থাকে না। এজন্য এই ভুলগুলো হয়।  

তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান রেজবি উল কবির ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।