ঢাকা, শনিবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

ফরিদপুরে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম, একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৪, এপ্রিল ৯, ২০২৩
ফরিদপুরে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম, একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন  প্রতীকী ছবি

ফরিদপুর: ফরিদপুরে খালাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধের জেরে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ভাইয়ের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

 

রোববার (০৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ভাজনডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই তিন ভাই হলেন- ভাজনডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম এলাকার বাসিন্দা তারা ফকিরের ছেলে মোহসিন ফকির (৪৫), মজনু ফকির (৩৫) ও বজলু ফকির (৩২)।

এর মধ্যে মহসিন ফকিরের বাম হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া তার ডান হাঁটুতে অস্ত্রের কোপ রয়েছে। মজনু ফকিরের মাথা ও মুখে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে এবং বজলু ফকিরের হাতে ও কাঁধে কোপ রয়েছে।

আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মহসিন ফকিরকে ঢাকার জাতীয় আর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর দুই ভাইকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


এলাকাটি ফরিদপুরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আলাউল হোসেন বলেন, গুচ্ছগ্রামে দুটি পরিবার পাশাপাশি বসবাস করে। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই। মোহাসিনদের সঙ্গে তার খালাতো ভাই মিজান মল্লিক ও আবুল মল্লিকের গত ১০ বছর ধরে সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সালিশ বিচার হলেও কোনো সমাধান হয়নি।  

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির সীমানার গাছের সজনে পাড়া নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে মিজান মল্লিক ও তার ভাই আবুল মল্লিক ও তাদের বাবা ইসমাইল মল্লিক এবং পরিবারের কয়েকজন নারী সদস্য দাসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।

পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তিন ভাইকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক রতন সাহা বলেন, আহতদের মেডিকেল হাসপাতাল পরিচালিত ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মহসিনের কব্জির রগ সব কেটে শুধু মাংস ঝুলে রয়েছে। এ অবস্থায় তার হাতটি জোড়া দেওয়া সম্ভব কি-না বিধায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মজনু ফকিরের অবস্থাও সন্তোষজনক নয় বিধায় তাকেও ঢাকায় স্থনান্তর করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন নারীকে আটক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।