ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কুষ্টিয়ায় চারদিন পর বাস ‘ধর্মঘট’ প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
কুষ্টিয়ায় চারদিন পর বাস ‘ধর্মঘট’ প্রত্যাহার

কুষ্টিয়া: চারদিন পর কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুর ও খুলনা রুটে বাস ‘ধর্মঘট’ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
 
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠক শেষে বাস ধর্মঘটের চারদিনের মাথায় এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আক্তার হোসেন।  

তিনি আরও জানান, দুপুর ১টা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।  

শ্রমিকদের মারধর ও বাসের ট্রিপ বাড়ানোকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে কুষ্টিয়া-ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া-খুলনা রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন নেতারা। এতে ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, যশোর ও খুলনাগামী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।  

ধর্মঘটের কারণে কুষ্টিয়ার মজমপুর বাস ডিপো থেকে সোমবার সকাল থেকে খুলনা ও ফরিদপুরগামী কোনো বাস ছাড়েনি। তবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর থেকে বাস ছাড়তে শুরু করেছে।

পরিবহন নেতারা জানান, ঝিনাইদহ মোটর শ্রমিক নেতারা বাসের নতুন ট্রিপ চাইছেন। এটা নিয়েই মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে মালিকেরা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বৈঠক করেন। এসময় সেখানে বাসের স্টাফদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় কুষ্টিয়ার পরিবহন সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের কার্যালয়ে বৈঠক করে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন।

এ পরিস্থিতিতে গত শনিবার বাস মালিক-শ্রমিকদের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক হয়। তবে সেখান থেকে কোনো সমাধান হয়নি। তাই সোমবার আবার বাসের মালিক ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।  

এসময় সেখানে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলমসহ কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার পরিবহন শ্রমিক ও নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।