ঢাকা: না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে মারা যান তিনি।
দেশের স্বাস্থ্যখাত বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে জড়িত না থাকলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতেন। বিভিন্ন সময়ে তার দেয়া বক্তব্য আলোচিত - সমালোচিত হয়েছে। তার দেওয়া সেরা ১০টি উক্তি তুলে ধরা হলো-
১. ‘আমাদের সামনে বড় কঠিন সমস্যা। শ্রীলঙ্কাকে দেখে শেখা উচিত। ’
২.‘শিক্ষকেরা সাহসী হন। রাস্তায় নেমে আসেন। কল্যাণকর রাষ্ট্রের জন্য সবাইকে একত্রিত হয়ে সংগ্রাম করতে হবে। সেই সংগ্রামে আপনাদের সঙ্গে আছি। যতই বয়স হোক, হুইল চেয়ারে বসে থাকলেও আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব। ’
৩. ‘আলেমরা শ্রদ্ধাভাজন। তাদের বলবো, ভাস্কর্য নিয়ে আপনাদের বিতর্কে জড়িয়ে পড়া ঠিক না। ’
৪. ‘আজকে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে ওহি নিয়ে। আর সে ওহি লন্ডন থেকে আসে। ’
৫. ‘আমি সমাজতন্ত্রী। ব্যক্তিগত সম্পদে বিশ্বাস করি না। আমার নামে মাছ চুরির মামলা দেয়া হয়েছে। এটা কোনো কথা । এটা হয়রানি ছাড়া কিছুই না। ’
৬. ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ’
৭. ‘এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ’
৮. ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজনও বিজ্ঞান পড়েনি। মন্ত্রীও বিজ্ঞান বোঝেন না, সচিবও কোনো দিন বিজ্ঞান পড়েছেন কিনা জানি না। এজন্য দ্বিগুণ দামে ভ্যাকসিন কেনায় তাদের উৎসাহ। প্লেনের ভাড়া ছাড়াই প্রায় ১৪ ডলার দিয়ে তারা ভ্যাকসিন ক্রয় করেছেন। ’
৯. ‘ধর্ষণে, যৌন নিপীড়নে দেশের সামাজিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। ’
১০. ‘দেশে কোথাও গণতন্ত্র নেই। ’
মৃত্যুর আগে কিডনি জটিলতার পাশাপাশি অন্যান্য বার্ধক্যজনিত রোগও পেয়ে বসেছিল ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে। তবে তিনি ছুটে চলছিলেন নিজের মতোই।
সম্প্রতি, শরীর একদমই খারাপ হয়ে যায়। ভর্তি হন নিজের সার্বক্ষণিক কর্মস্থল নগর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে। সোমবার (১০ এপ্রিল) নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। তার আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনোভাবেই রাজি করানো যায়নি। দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দেশের মাটিতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবেন—এমন সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা বৃথা করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
টিআর/এসএএইচ