কুমিল্লা: স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় কুমিল্লায় পরিবহন নেতা রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়াকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর পর মামলার রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দক্ষিণ সতানন্দি গ্রামের শান্তিরঞ্জন শীলের ছেলে তাপস চন্দ্র শীল (২৫), একই গ্রামের মৃত রেজাউল করিম রাজা মিয়ার স্ত্রী মোসা. আলো আক্তার (৩০) এবং একই জেলার চান্দিনা উপজেলার বশিকপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আবদুস সামাদ ওরফে সামাদ সরকারের ছেলে মো. রাশেদ (২৮)।
রায় ঘোষণার সময় আসামি রাশেদ উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি মোসা. আলো আক্তার ও তাপস চন্দ্র শীল পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি মো. নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মামলার এজাহারকারী এবং রাষ্ট্রপক্ষ শিগগিরই রায় কার্যকর করার জন্য জোর দাবি জানান।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মাসুদ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা রায়ের কপি হাতে পেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার পুরাতন চরচাষি ছায়েদ আলী মুন্সী বাড়ির মো. রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়া দাউদকান্দি বাসস্ট্যান্ডে গজারিয়া পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৩ জুন আবদুল আউয়াল কমিশনারের বাড়ির পাশ থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর তার ভাই মো. খাজা মিয়া (৪৮) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী আলো আক্তারকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আলো জানান, তাপস চন্দ্র শীল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয় ছিল তার। এতে বাধা দেওয়ায় ভাড়াটে খুনি রাশেদকে নিয়ে স্বামীকে খুন করেন তিনি। আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দেন তিরি। আদালত ২০১৫ সালের ২৭ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
এসএএইচ