ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্কের শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্কের শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ এবং এর একটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে। আমাদের ভৌগোলিক নৈকট্য ও সাংস্কৃতিক সখ্যতা  রয়েছে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) তিনি ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স আয়োজিত ‘উত্তর-পূর্ব ভারত এবং ইন্দোপ্যাসিফিকের বঙ্গোপসাগর: সংযোগ স্থাপন: এগিয়ে যাওয়ার পথ’ বিষয়ে ‘'তৃতীয় ভারত-জাপান বুদ্ধিজীবী কনক্লেভে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের গভার্নিং কাউন্সিল সদস্য রিভা গাঙ্গুলী, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোসি সুজুকি বক্তব‍্য রাখেন।

নয়াদিল্লীস্থ জাপান দূতাবাস ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স এ কনক্লেভের আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে দুটি ট্রায়াল রান সম্পাদিত হয়েছিল। শিগগিরই এই রুট পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে। পুরোদমে পণ্য হ্যান্ডেল করার সক্ষমতা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) চুক্তি রয়েছে। এ চুক্তির আলোকে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যে পণ্য পরিবহন করা যাবে। এছাড়া উপকূলীয় সমুদ্র ও নদীপথে ভারত থেকে পূর্ব রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনের জন্য উপকূলীয় শিপিং চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে।

তিনি বলেন, নৌপথে অবাধ ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসারের জন্য ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের মধ্যে বিবিআইএন চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হল চুক্তিভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ন্যায্য এবং আঞ্চলিক পরিবহন নিশ্চিত করা, যাতে তাদের নিজস্ব বাণিজ্যিক স্বার্থ নিশ্চিত হয়।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান। বাঙালি ও জাপানিদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলির মধ্যে জাপান অন্যতম। স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী হয়ে উঠেছে। এই অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগ পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করবে।
দুই দিনব‍্যাপী অনুষ্ঠিত এ কনক্লেভে বাংলাদেশ, জাপান ও ভারত থেকে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক, স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেন।

কনক্লেভে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী তিন সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।

প্রতিমন্ত্রী কনক্লেভে অংশ নিতে বুধবার সকালে সড়কপথে আগরতলা যান এবং একই দিন সড়কপথে দেশে ফিরে আসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।