ঢাকা: রাজধানীর আদাবর শেখেরটেক এলাকার একটি বাসায় নুরুল আলম (৭৪) নামে একজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছেলে ইফতেখার আলম সুমনকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদাবর শেখেরটেক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ করে পুলিশ। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মৃত নুরুল আলম চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার মরিয়মনগর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে শেখেরটেকের ওই বাসায় ছেলেসহ ভাড়া থাকতেন। আটক ছেলে ইফতেখার আলম সুমন (৩৫) বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মো. জুবায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে বাড়ির কেয়ারটেকার বাড়ি ভাড়া নিতে আসলে সুমন কেয়ারটেকারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে এবং তলপেটে লাথি মারে এবং দাঁড়ি ধরে টেনে বিল্ডিংয়ের নিচে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামি সুমন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় বাড়ির মালিক ও কেয়ারটেকার থানায় জিডি করেন। এর পরপরই আদাবর থানা পুলিশ ওই বাসায় আসে এবং রক্তাক্ত নুরুল আলমকে খাটে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। আদাবর থানা পুলিশ ও সিআইডির একটি টিম হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে।
ওসি জানান, ওই বাসায় বাবা ছেলে ভাড়া থাকতেন। সুমন নেশাগ্রস্ক ছিল। সে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক। মৃত নুরুল আলমের উরুতে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতে যেকোনো সময় বাবাকে হত্যা করে ছেলে সুমন। বিকেলে অভিযান চালিয়ে শেখেরটেক মেইন রোড থেকে ইফতেখার আলম সুমনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
এজেডএস