বরগুনা: বরগুনায় পুলিশের সামনেই এক ধর্ষণ মামলার বাদীকে ঠ্যাং ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরকগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ওই গ্রামের ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার আসামিদের সঙ্গে বাদীপক্ষের মারামারির একটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার তদন্তে আসামি হৃদয় গাজী ও শহীদুল গাজীর বাড়িতে যান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম।
এসময় তিনি ধর্ষণ মামলার বাদী রাজমিস্ত্রি ইদ্রিস মুন্সিকে ওই বাড়িতে ডেকে নিলে তার সামনেই হৃদয় গাজীর নিকটাত্মীয় ইউপি সদস্য আবুল গাজী ইদ্রিস মুন্সিকে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং তাকে ঠ্যাং (পা) ভেঙে দেবার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ইদ্রিস মুন্সি।
তিনি বলেন, দারোগার সামনেই আবুল গাজী, জাফর গাজীসহ আরও লোকজন আমাকে মারতে আসেন। এসময় আবুল গাজী ও জাফর গাজী আমার হাত-পা ভেঙে দেবার হুমকি দেন। পরে দারোগা আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেন।
ইদ্রিস মুন্সি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার মেয়েকে যারা নির্যাতন করেছে তারা বাড়িতে এসে মামলা তুলে নেবার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ তাদের ধরছে না। আমার টাকা নেই বলে কী আমি বিচার পাবো না?
এ বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাইলে এসআই সাইফুল ইসলাম হুমকির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নই। আমি দুপক্ষের মধ্যে মারামারির মামলার তদন্তে গিয়েছিলাম। -এই বলে তিনি মোবাইল রেখে দেন।
এদিকে ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার রিং হলেও তিনি একবারও রিসিভ করেননি।
তবে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, ভিকটিমের মেডিক্যাল সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে ওদের মধ্য ঝামেলাও আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এনএস