রাজশাহী: নীলফামারী থেকে ২০১০ সালে বাকপ্রতিবন্ধী ও অভিভাবকহীন লাভলী খাতুনকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। একই বছর নীলফামারী থেকে তাকে রাজশাহী সেফহোমে পাঠায়।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজশাহীর বায়া সেফহোমে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের আসরের মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, সেফহোমের ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এ বিয়ের আয়োজন ছিল একটি মানবিক কাজ। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিয়ের ব্যবস্থা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য আদালত থেকে আগেই তাদের জামিন নিতে হয়। বাকপ্রতিবন্ধী লাভলীর সঙ্গে হাবিব পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। আর এ বিয়েতে তারাও খুশি বলে জানিয়েছেন।
অভিভাবকহীন এ নারীর বিয়ে দিতে পেরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদও খুশি বলে জানান। এ বিয়েতে অতিথিসহ প্রায় ১০০ মানুষকে দাওয়াত করা হয়েছিল।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অভিজিত সরকার ও রাজশাহী সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসিনা মমতাজ, রাজশাহীর নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শামসুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ। এছাড়া বায়া সেফহোমের উপ-তত্ত্বাবধায়ক লাইজু রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বরের পক্ষ থেকে বরযাত্রী এসেছিলেন আরও প্রায় ২০ জন।
বায়া সরকারি সেফহোম সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি প্রতিষ্ঠান। রাজশাহীর সেফহোমটি পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বায়া এলাকায় অবস্থিত।
আজ সেখানে লাভলী খাতুনের বিয়ে হলো নগরীর বড়বনগ্রাম দুরুলের মোড় এলাকার মো. হাবিবের (৪২) সঙ্গে। তবে বর্তমানে লাভলী খাতুনের কোনো অভিভাবক নেই।
এক লাখ টাকা দেনমোহরে তার বিয়ে হয়েছে হাবিবের সঙ্গে। রাজশাহীতে লাভলী খাতুন ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসনে। লাভলীর বর রাজশাহী শহরে অটোরিকশা চালান। দুই বছর আগে তার স্ত্রী মারা গেছেন। তার তিন ছেলেও ছিল এ অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এসএস/আরবি