ঢাকা: ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকায় এখন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খোলা আকাশের নিচে যেন আগুন ঝরছে।
তাপমাত্রার এই অস্বাভাবিকতা পর্যবেক্ষণ করছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এমন অস্বাভাবিকতা বিরাজ থাকলে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৪০ থেকে ৪২’র ঘরে থাকা তাপমাত্রায় মানুষ ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব নিয়ে আলাপকালে বাংলানিউজকে একথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) ৫৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম দিন পার করেছে ঢাকাবাসী। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
তিনি বলেন, ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থানে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।
১৯৭৫ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে রেকর্ড এখনো ভাঙেনি। তবে ছুঁইছুঁই অবস্থা।
এরই মধ্যে তাপমাত্রাজনিত জরুরি অবস্থা জারি করার কথা শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, এখন বা এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নাই। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আরও এক-দুই দিন এই অবস্থা চলতে পারে। দুই-একদিন দেখি, প্রয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করবো। পরিস্থিতি দেখে তাতে কী করা যায় বা জরুরি অবস্থা করতে হয় কি না, এসব আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, এবার তো তাপমাত্রা অনেক বেশি। ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে।
একুশ শতকে তাপমাত্রা বৈশ্বিকভাবে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ বা ২০২২ সালেও তাপমাত্রা অধিক ছিল। এটা বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণেই হচ্ছে।
তাপমাত্রা এখনও জরুরি পরিস্থিতির মতো মারাত্মক আকার ধারণ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আরও দেখি। অবস্থা দেখে ব্যবস্থা নেব।
নগরবাসীর জন্য পরামর্শ কী- জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা যেমনটা বলছেন, সেভাবে আমাদেরও পরামর্শ থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া। আর এই সময়ে সবাইকেই সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এমআইএইচ/এনএস