ঢাকা: বিদেশিদের কাছে নালিশ টালিশ করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (১৬ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন বিএনপির এক প্রতিনিধি দল ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, বিদেশীদের কাছে গিয়ে কোনো লাভ নেই। তার চেয়ে তৃণমূলের কাছে যাওয়া উচিৎ। তারা ভোট দেবে। বিদেশিরা তো কোনো ভোট দেবে না। তাই বিদেশিদের কাছে কোনো নালিশ টালিশ করে কোনো লাভ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আমরা নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতে চাই। তারাও চায়। এ নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। আমেরিকা আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন চায়। সে কারণে তারা একজন রাষ্ট্রদূতকে পাঠিয়েছেন। তার ইকোনমির ওপর ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা চাই তিনি ইকোনমিক ইস্যুতে জোর দেবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ড. মোমেন আরও বলেন, আমরা তাদের বলেছি, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের জন্য আমরা বায়োমেট্রিক ভোটার তালিকা করেছি। আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স বানিয়েছি। স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে, সভা সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়। তবে এটা ঠিক নয়। যে কেউ এখানে সভা সমাবেশ করতে পারে। টিভিতে মত প্রকাশ করতে পারে। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) চায় কেউ যেন খামোকা হয়রানির শিকার না হয়। আমি বলেছি, আমরা হলাম সেই জাতি, যারা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছি। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্যও লড়াই করেছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তারা বলেছে, তোমাদের দেশের আইনেই নির্বাচন হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বার বার কেনো সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে, জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আমরাই তো সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে তারা আমাদের চাঙ্গা রাখতে চান।
ড. মোমেন আরও বলেন, ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে খুব ভালো এক্সপার্ট। আশা করি আমদের উন্নয়ন সহযোগী হয়ে ভালো কাজ করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে আমরা কী পেলাম- এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ) একই স্পিরিট রয়েছে। এতে আমাদের সাহস হয়েছে যে, তাদের কাছে নালিশ টালিশ করে কোনো লাভ নেই।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মোমেন। বৈঠক শেষে ১৩ এপ্রিল ঢাকায় ফেরেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
টিআর/এনএস