ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মসজিদে এসি-ফ্যান চালানোর জেরে হামলায় তিনজন আহত, আটক ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
মসজিদে এসি-ফ্যান চালানোর জেরে হামলায় তিনজন আহত, আটক ৫

বরিশাল: এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালানোকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরের ভাটিখানা এলাকার জোড় মসজিদে মুসল্লিদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটলে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ইউনুস আলীসহ তার দুই ভাই গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

রোববার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারাবির নামাজ আদায় শেষে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করে। পাশাপাশি আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেছেন স্বজনেরা।

আটকরা হলেন ওই এলাকার বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদ খানের ছেলে সাজোয়ান খান (৩৫), আসাদুজ্জামানের ছেলে নাইম ইসলাম (২৬), আ. মান্নান খানের ছেলে মহিবুল (২৮), সাজ্জাদ কবিরের ছেলে সাজ্জাদ সাইম নিশান (২৯) ও ইদ্রিস আলী খানের ছেলে মিরাজ খান (৩৪)।

অপরদিকে আহতরা হলেন মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ও ব্যবসায়ী ইউনুস আলী, তার ভাই মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা রশিদ তালুকদার ও বাসেদ তালুকদার।

আহত ইউনুস আলী বলেন, রোববার রাতে মসজিদে তারাবির নামাজের সময় এসি ও ফ্যান চালানো নিয়ে মুসল্লিদের একটি অংশ উশৃঙ্খল কথাবার্তা শুরু করে। নামাজ শেষে এ নিয়ে তিনি কথা বলতে গেলে রাজ্জাক খান ও সুলতান খান বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এরই ধারাবাহিকতায় মসজিদের ভেতর বসেই আমাকে ও আমার ভাইদের ওপর হামলা চালান তারা। এ সময় মুসল্লিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও পরবর্তীতে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় রাজ্জাক খানের ছেলে বাবু ও সুলতান খানের ছেলে সাজওয়ান খানসহ ১০-১৫ জন মিলে আমাদের ওপর পুনরায় হামলা চালান ও মারধর করেন।

মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা রশিদ তালুকদার বলেন, এ ঘটনার সূত্রপাত আসরের নামাজের সময় কালাম নামে এক ব্যক্তির উশৃঙ্খল আচরণ থেকে। তিনি এসি চলাকালীন সময়ে ফ্যান চালানো নিয়ে হট্টগোল করেন, তখন বিষয়টি থামিয়ে দেয় মসজিদ কমিটির লোকজন। এরপর মাগরিবের নামাজে কোনো সমস্যা না হলেও তারাবির নামাজে পুনরায় এসি চলাকালীন সময়ে ফ্যান চালু ও বন্ধ করা নিয়ে সুলতান খান ও তার স্বজনেরা কমিটির লোকজনের সঙ্গে উশৃঙ্খল আচরণ করেন। যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা তিন ভাই মারধরের শিকার হয়েছি।

এদিকে আহত ইউনুস আলীর ছেলে ইশতিয়াক দাবি করেন, তার বাবাকে মারধরের মধ্যেই কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।

বাসেদ তালুকদারের ছেলে সজিব তালুকদার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তারা আইনের আশ্রয় নিবেন। এভাবে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার বাবা ও চাচাদের মারধর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বহিঃপ্রকাশ।

আর এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আহত রশিদ তালুকদারের ছেলে বশির আহমেদসহ স্বজনেরা।

এ ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক তাদের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
এমএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।