কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এলো বিশালাকৃতির মৃত তিমি।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সৈকতের মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি পয়েন্টে তিমিটি জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বুরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিশাল দেহের তিমিটি সৈকত তীর থেকে অন্তত ২০০ থেকে ২৫০ মিটার দূরে সাগরে আটকে রয়েছে। তার ধারণা অন্তত এক সপ্তাহ আগে তিমিটি মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, তিমিটির শরীরে বিভিন্ন অংশে পঁচন ধরায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ, মৎস্য অধিদপ্তর, বনবিভাগ ও প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তিমিটি ‘ব্রাইডস হোয়েল’ প্রজাতির বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল ভেসে আসা তিমি দুটিও একই প্রজাতির ছিল।
তিনি বলেন, মৃত তিমির শরীরে জাল ও বয়া পেঁছানো রয়েছে। মাথায় আঘাতের চিহ্নও আছে। তিমি সাধারণত মৎস্য শিকারীদের জালে আটকা পড়ে, জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে কিংবা সমুদ্র দুষণের কারণে পরষ্পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং দিকভ্রান্ত হয়ে উপকূলের অগভীর জলে এসে আটকা পড়ে মারা যায়।
সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ হায়দর বলেন, ‘এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি খুব সংবেদনশীল। কখনো কখনো সঙ্গীর মৃত্যুতে এদের সাগরের অগভীর জলে আত্মহুতি দিতেও দেখা যায়। তিমিটি এখনও সৈকত তীরে না আসায় পূণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ ও নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে সামুদ্রিক প্রাণীর মৃতদেহ ভেসে আসছে। গত তিন মাসে ডলফিন, কচ্ছপ, জেলিফিশসহ নানা ধরনের প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি জানার পর বনবিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ বিভাগকে জানানো হয়েছে। তীরে এলেই দ্রুত তিমিটি মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এসবি/আরআইএস